খাগড়াছড়িতে হামলার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ পাহাড়িদের প্রতিবাদ, সাত দফা দাবি
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে অগ্নিসংযোগ ও 'সেনাবাহিনীর গুলির' প্রতিবাদ করে এবং জড়িতদের শাস্তি চেয়ে সাত দফা দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ পাহাড়ি শিক্ষার্থী-জনতা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি'র রাজু ভাস্কর্যের সামনে পাহাড়ি শিক্ষার্থী-জনতার এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এ দিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে 'বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা' নামক একটি প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে আগামী ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'জুম্ম শিক্ষার্থীরা আশা করেছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় পাহাড়ের জুম্ম জনগণও শামিল হতে পারবেন।'
সমাবেশে দীঘিনালায় সহিংসতার শিকার পাহাড়ি অধিবাসীসহ তিন পার্বত্য জেলার জুম্ম জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জাতিসংঘের মাধ্যমে হামলার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা, নিহত তিনজন পাহাড়ি ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি করা হয়।
একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ বিহার পুনঃনির্মাণ এবং দোকান-পাট ও বাড়িঘরের মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, 'ঘটনার সঙ্গে জড়িত' সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবির কথাও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাঙালিদের প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে তিন জেলায় স্বায়ত্তশাসন দেওয়াসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
'ইতোমধ্যেই অনেক পাহাড়ি নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপত্তার খোঁজে জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন,' বলা হয় বিবৃতিতে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক নুমং প্রু মারমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের ঢাকা মহানগর সভাপতি প্রিয় জ্যোতি ত্রিপুরা, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির শান্ত চাকমা, মানবাধিকার কর্মী ইলিরা দেওয়ান, জুম্ম নাগরিক সমাজের ডা. অজয় প্রকাশ চাকমাসহ বেশ কয়েকজন পাহাড়ি ছাত্রনেতা।