এনসিএল টি-টেনে দ্বিতীয় ম্যাচেই উজ্জ্বল সাকিব
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে গেছেন তিনি। সাকিব যখন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাটে-বলে আলো ছড়াচ্ছেন, বাংলাদেশ ততোক্ষেণে অসহায় আত্মসমর্পণে ভারতের বিপক্ষে মেনে নিয়েছে বড় হার। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিবের অভাবের কথা অনেককেই বলতে দেখো গেছে।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার অবশ্য পেছন ফিরে দেখছেন না। আপাতত ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ খেলেন যেতে চান সাকিব, নিজেকে রাখতে চান ফিট। পারফর্ম করে যেতে পারলে বিসিবি চাইলে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে ফিরতেও পারেন তিনি। এই মুহূর্তে তার সব মনোযোগ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ টি-টেনে লিগে, যেখানে শুরুটা মনে রাখার মতো ছিল না।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ছন্দে ফিরেছেন সাকিব, ব্যাটে-বলে দলের জন্য রেখেছেন বড় অবদান। আগে ব্যাটিং করে ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি, ১৮১.৮২ স্ট্রাইক রেটে ১১ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৮ রান। পরে বল হাতে পান সাফল্য, ৩ ওভারে ৩৭ রানে বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার ২ উইকেট। এরপরও অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টেক্সাস গ্ল্যাডিয়েটর্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরে যায় সাকিবদের দল লস অ্যাঞ্জেলেস ওয়েভস ক্রিকেট ক্লাব। ডালাসে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৬ রান তোলে লস অ্যাঞ্জেলেস। জবাবে ডেভিড মালার ও জেমস ফুলারের ব্যাটে ৮.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টেক্সাস গ্ল্যাডিয়েটর্স। এনসিএল টি-টেনে টানা দুই ম্যাচ হারলো সাকিবদের দল।
প্রথম ম্যাচে ১৯ রানে হারে লস অ্যাঞ্জেলেস। ওই ম্যাচে দলের মতো কঠিন সময় যায় সাকিবেরও। এক ওভারে দেন ১৮ রান, সবচেয়ে বেশি ইকোনমিতে রান খরচা করা থাকেন উইকেটশূন্য। পরে ব্যাট হাতে ১০ ওভারের ম্যাচে টি-টোয়েন্টি মেজাজেও ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। ১৬ বলে ৩টি চারে করেন ১৩ রান। দুই হারে ছয় দলের টুর্নামেন্টে সাকিবদের দলের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।