কুষ্টিয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি দেখে ইলিশ ফেলে পালালেন বিক্রেতা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি দেখে ইলিশ ফেলে পালিয়ে গিয়েছেন এক বিক্রেতা। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রায় ৬ কেজি ইলিশ মাছ, পরিমাপের যন্ত্র, সিলভারের গামলা জব্দ করেছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির প্রবেশপথে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্রেতার পরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়া, বিকাল ৫ টার দিকে পদ্মা নদীর শিলাইদহ ঘাট এলাকা মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর।
অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় প্রায় দুই কেজি ইলিশ ও ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিম খানায় দিয়ে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা জ্যেষ্ঠা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এসময় ইলিশ ধরা, আরোহন, পরিবহন ও বিক্রয় নিষেধ। আইন অমান্যকারীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এছাড়াও উভয় দণ্ডও হতে পারে।
তিনি জানান, কুমারখালী উপজেলায় পদ্মা নদীর প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মা ইলিশের প্রজনন রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন তারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে যাওয়ার পথে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি প্রবেশ পথ থেকে প্রায় ৬ কেজি ইলিশ, পরিমাপ যন্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। তবে বিক্রেতাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এদিন বিকেল থেকে সন্ধা পর্যন্ত পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে একজন পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় আরও প্রায় দুই কেজি ইলিশ ও প্রায় ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে এবং মাছ এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।