রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কাল বৈঠক তিন উপদেষ্টার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। আগামীকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় তাদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
তিন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আদিলুর রহমান শুভ্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে আজ বিকেল ৪টা থেকে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে একাধিক সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে দুজন গুলিবিদ্ধ ও একজন সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নারী সদস্য মাইকে ঘোষণা দেন। এরপরে ৩০০-৪০০ জন বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ধাক্কাধাক্কি করেন। ৮টা ২২ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টাও করেন বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা।
তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের বঙ্গভবনের ভেতরে পাঠিয়ে দেন। পরে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান উপস্থিত সেনাসদস্যরা। তারা আন্দোলনকারীদের মাইকিং করে সরে যেতে বলেন। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাইকিং করতে শুরু করেন। তারা আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলেন। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে সন্ধ্যার দিকে আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
তাদের কর্মসূচি থেকে বলা হয়, "বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না সে রাষ্ট্রপতি পদে থাকুক। তাই আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হবে।"