সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ ঘোষণায় এলো ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ আমদানির ঘোষনা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে স্বল্পমূল্যের ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক আমদানি করেছে কুমিল্লার আমদানিকারক সাকুরা স্টিল লিমিটিড। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল চালানটি দুবাই এর জাবেল আলি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলেও খালস নিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কোন ডকুমেন্ট দাখিল করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম কন্টেইনারগুলো পরীক্ষা করে দেখতে পায়; ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপের পরিবর্তে বাণিজ্যিকভাবে স্বল্পমূল্যের ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, কুমিল্লার ময়নামতি বাজার বুড়িচং সিন্দুরিয়া ঠিকানার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাকুরা স্টিল লি: সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য রুপালী ব্যাংক লি.- এর দিলকুশা শাখায় একটি ঋণপত্র খোলে। ঋণপত্রে পণ্যের মূল্য ধরা হয় ১,৭১,৫৭৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা।
উক্ত ঋণপত্রের আওতায় গত ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল দুবাই এর জাবেল আলি বন্দর থেকে এমভি স্মাইলি লেডি জাহাজযোগে লৌহ-শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে স্ক্র্যাপ ঘোষণায় ২০টি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ভারি শিল্পের কাঁচামাল হওয়ায় দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে কন্টেইনারগুলো সিসিটিসিএল ডিপোতে (বেসরকারি অফডক) প্রেরণ করা হয়।
এরপর পণ্য খালাসের লক্ষ্যে আমদানিকারক দীর্ঘদিন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট কোন নথিও দাখিল করেননি। এআইআরটিম কন্টেইনারগুলো পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় এবং কন্টেইনার খুলে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপের পরিবর্তে বাণিজ্যিকভাবে স্বল্প মূল্যের ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা পাচারের প্রচেষ্টা ছিল কিনা অথবা রপ্তানিকারক এদেশীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতারণা করেছেন কিনা- তা অনুসন্ধান করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের মুদ্রাপাচার প্রতিরোধী ইউনিট।