নেতা তামিম জেতালেন বরিশালকে
জেমকন খুলনার বিপক্ষে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ শেষ ওভারে ফসকে যায় ফরচুন বরিশালের। আবারও শেষের ভূতে ধরতে বসেছিল বরিশালকে। হঠাৎ-ই ছন্দ পতনে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষেও বিপাকে পড়ে যায় তামিম ইকবালের দল। কিন্তু এদিন আর ভুল হতে দেননি অধিনায়ক তামিম। ৭৭ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শনিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। আসরে এটা তাদের প্রথম জয়। অন্যদিকে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা রাজশাহীর এটা প্রথম হার। প্রথমে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৩২ রান তোলে রাজশাহী। জবাবে ম্যাচসেরা তামিমের দারুণ ব্যাটিংয়ে এক ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বরিশাল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। ভালো শুরু পাওয়ার পরও দলটি বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয়। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন দুজনই ২৪ রান করে করেন। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও দুটি উইকেট হারায় রাজশাহী। এরপর দলটির হয়ে ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও মাহেদী হাসান লড়েছেন।
ফজলে মাহমুদ ৩১ ও মাহেদী ৩৪ রান করেন। রাজশাহীর চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। বরিশালের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। এ ছাড়া মিরাজ ২টি এবং তাসকিন ও আবু জায়েদ একটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য বড় না হলেও শুরুটা ভালো হয়নি ফরচুন বরিশালের। দলীয় ৫ রানেই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে হারায় তারা। যদিও শুরুর চাপ কাটিয়ে উঠতে সময় নেননি অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় জুটিতে ৬১ রান যোগ করেন এ দুজন। ইমন ২৩ রান করে ফিরলেও তামিম নেতার মতোই খেলতে থাকেন।
তৌহিদ হৃদয় ১৭ রান করে আউট হওয়ার পর দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারায় বরিশাল। এ সময় ঠান্ডা মেজাজে ব্যাট চালিয়ে গেছেন তামিম। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাটেই জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের। ৬১ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচসেরা তামিম। রাজশাহীর মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ২টি এবং এবাদত হোসেন ও মাহেদী হাসান একটি করে উইকেট নেন।