টানা ছয় বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ইঁদুরবহুল শহর শিকাগো
বাতাসের শহর বলেই পরিচিত শিকাগো। বিশাল মাংস প্রক্রিয়াজাত শিল্পের কারণে, পৃথিবীর 'কসাইখানা' খেতাবটাও শিকাগোর দখলে। তার সঙ্গেই এবার যোগ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ইঁদুরবহুল শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন!
বার্তা সংস্থা সিএনএন সূত্রে জানা যায়, টানা ছয় বছরের ধরেই তালিকার প্রথম স্থানটি শিকাগোর দখলে।
এটি প্রস্তুত করে আটলান্টা ভিত্তিক উপদ্রুপকারী প্রাণি ও পতঙ্গ নিধনকারী সংস্থা- ওরকিন। প্রতি বছরের ৩১ আগস্ট থেকে পহেলা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের কাছে আসা ইঁদুর নিধনের অনুরোধ হিসাব করে তারা যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোর এ সারণী প্রস্তুত করে থাকে। খবর সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি শহরের এ তালিকায়, নতুন উৎপাতের খবর অনুসারে কোন শহরে প্রাণিটির উৎপাত বেশি- তা নির্ধারণ করা হয়। অন্য নগরগুলো ইঁদুর সংখ্যায় উন্নতি বা অবনতি লক্ষ্য করলেও, শিকাগোর অবস্থা কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। তাই চলতি বছরও টানা ষষ্ঠবারের মতো প্রথমস্থান দখল করেছে শিকাগো।
ওরকিনের একজন কীটপতঙ্গ বিশেষজ্ঞ বেন হট্টেল বলেন, গন্ধ শুকে খাবার আর বাসস্থান খুঁজে বের করতে ইঁদুরের জুরি মেলা ভার। আর এজন্য মানুষের আবাসস্থলগুলোই তাদের সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। আর একবার আস্তানা গাড়লেই অকল্পনীয় হারে বংশবিস্তারেও সক্ষম প্রাণিটি।
জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় কী তাহলে বেড়ালই সবচেয়ে ভালো উপায়?
শিকাগোতে ইঁদুরের উৎপাত কমানোর চেষ্টা অনেক বছর ধরেই চলছে। ২০১৬ সালে ইঁদুরের বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধই ঘোষণা করেছেন নগর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়।
তারপরও, কাজের কাজ তেমন না হওয়ায়, অনেক বাড়িতে এখন বেড়াল পোষা শুরু হয়েছে।
মহামারি আবাসিক এলাকায় ইঁদুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে:
কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে বন্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রেস্তোরাঁ। বন্ধ রয়েছে অনেক বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। শিকাগোতেও বন্ধ কসাইখানাগুলো। ফলে ওই সব এলাকায় ইঁদুরের জন্য সহজলভ্য খাদ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, বলে জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ওয়েবসাইট সূত্রে।
সিডিসি বলছে, এতে নতুন খাদ্যের সন্ধানে ইঁদুরের দল বাসাবাড়িতে উপদ্রুপ বাড়িয়েছে, বলে তাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসছে।
এ অবস্থায় আসন্ন শীতে উষ্ণতা এবং খাদ্যের সন্ধানে আবাসিক এলাকায় ইঁদুরের উপদ্রুপ আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে ওরকিন।