যান্ত্রিক হাতি দিয়ে ‘নিষ্ঠুরতামুক্ত’ পদ্ধতিতে আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে ভারতের মন্দির
দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার একটি মন্দিরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের জন্য এখন থেকে যান্ত্রিক হাতি ব্যবহার করা হবে। খবর সিএনএন-এর।
কেরালার মন্দিরগুলোতে ধর্মীয় আচার পালনের অন্যতম অনুষঙ্গ হাতি। নিরাপত্তার স্বার্থে এসব হাতিকে প্রায়ই শিকলে বেঁধে রাখা হয়।
বহুদিন ধরে প্রাণী অধিকারকর্মীরা বন্যপ্রাণীর প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণের জন্য ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কেরালার একটি পূজা-অর্চনা পালনে একটি প্রমাণ সাইজের 'রোবট হাতি' ব্যবহার করবে।
ইরিঞ্জাদাপ্পিল্লি নামের রোবট হাতিটি ১০ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। হাতিটি একটি লোহার ফ্রেম দিয়ে তৈরি। প্রাণীরক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠনের পেটা-র সঙ্গে যৌথভাবে অভিনেত্রী পার্বতী থিরুভোথু এই রোবট হাতি অনুদান হিসেবে দিয়েছেন।
পেটা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মন্দিরে উৎসব চলার সময় প্রচণ্ড শব্দ হয়। জীবন্ত হাতিকে সেই শব্দের মধ্যে রাখাটা নৃশংসতা।
পেটা ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, ইরিঞ্জাদাপ্পিল্লি শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে 'নিরাপদ ও নিষ্ঠুরতামুক্ত' পদ্ধতিতে এই যান্ত্রিক হাতি ব্যবহার করা হবে।
মন্দিরটির প্রধান পুরোহিত রাজকুমার নাম্বুদিরি বলেন, এই হাতি অনুদান পেয়ে তিনি 'দারুণ খুশি এবং কৃতজ্ঞ'।
পার্বতী থিরুভোথু বলেন, এই উদ্যোগ প্রাণীদের 'মর্যাদাপূর্ণ জীবন' পেতে সাহায্য করবে।
ভারতের অধিকাংশ আটক হাতিই অবৈধভাবে আটক করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেটা। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কেরালায় বন্দি হাতির আক্রমণে ৫২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।