অপ্রত্যাশিত হলেও মে’তে চীনের উৎপাদন কার্যক্রমের পরিধি বেড়েছে
সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা মহামারির থাবায় অর্থনৈতিক স্থবিরতার মুখে, ঠিক তখনই কি পূর্ণ গতি ফিরে আসছে চীনের অর্থনীতিতে? বিগত দুই মাসের চিত্র অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। দেশটির সরকার প্রদত্ত তথ্য নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও, কিছু বেসরকারি তথা শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক বাণিজ্যিক তথ্য বিশ্লেষক সংস্থাও অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
চীনের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম নেটওয়ার্ক কাইশিনের সঙ্গে এক পিএমআই বা পারচেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স জরিপ পরিচালনা করেছে বিশ্বখ্যাত বাণিজ্যিক তথ্য বিশ্লেষক আইএইচএস মার্কিট।
কাইশিন/ মার্কিট ওই জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সদ্য সমাপ্ত মে'তে চীনের উৎপাদন কার্যক্রম ইতিবাচক হারে বেড়েছে। পিএমআই সূচকের এই প্রসারণের আকার ৫০ দশমিক ৭। পিএমআইতে ৫০ এর নিচে থাকলেই তা সংকোচন, অন্যদিকে এর বেশি থাকলে তা উৎপাদন কাজের বিকাশ নির্দেশ করে। খবর সিএনবিসির।
এত দ্রুত ইতিবাচক ধারায় ফেরাটা চীনের জন্য সহজ হবে না বলেই ধারণা করেছিলেন চীনা অর্থনীতির অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক। রয়টার্স পোলে অংশ নেওয়া অর্থনীতি বিশারদেরাও মে মাসে নেতিবাচক ৪৯ দশমিক ৬ বা ৪ পিএমআই পয়েন্ট অর্জন করবে চীন, এমন অভিমত দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেই বিকশিত হয়েছে চীনের কারখানা পর্যায়ের উৎপাদন।
এমনকি সাম্প্রতিক জরিপের তথ্যে দেখা গেছে, দেশটির উৎপাদন চাহিদার চাইতেও বেশি দ্রুত বেড়েছে। ২০১১ সালের পর স্বল্প সময়ের মাঝে উৎপাদন কাজের এমন গতি আর লক্ষ্য করা যায়নি। তবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি না বাড়ায়, মে'তে ভোক্তা চাহিদা উৎপাদনের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে।
করোনার মহামারির প্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারির রেকর্ড অবনতির পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির উৎপাদন কাজে যে নতুন গতি এসেছে, সদ্য সমাপ্ত ইংরেজি মাসটির হালনাগাদ তথ্য সেদিকেই নির্দেশ করছে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে কাইশিন ও আইএইচএস মার্কিট।
গতকাল রোববার চীন সরকারও আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের পিএমআই সূচক প্রকাশ করে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে মে'তে পিএমআই ছিল ৫০ দশমিক ৬ পয়েন্ট। অবশ্য এপ্রিলের তুলনায় এটা কিছুটা কম। এপ্রিলের শেষ নাগাদ ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পিএমআই ছিল বলেই দাবি সরকারি সূত্রের।