৮৭ দিন পর ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি চালু হলেও বন্ধ রপ্তানি: ক্ষতি ৪৩৫ কোটি টাকা
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় টানা ৮৭ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি কার্যক্রম। শনিবার বেলা ৩টার দিকে ভোমরা বন্দর ও বিপরীতে ভারতের ঘোজাডঙ্গা বন্দর দিয়ে পুনরায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এদিকে, বন্দর বন্ধ থাকায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ২৬১ কোটি টাকার আর ব্যবসায়িদের ক্ষতি ১৭৪ কোটি টাকা।
বন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশের সময় পূর্বের ন্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে ভারতীয় নাগরিকদের। বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ পরিদর্শক বিশ্বজিত সরকার জানান, আমদানি কার্যক্রম চালু হওয়ার পর দেশে প্রবেশের সময় পূর্বের নিয়মে সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনো ভারত ও বাংলাদেশে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ভোমরা বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মাকসুদুল খান জানান, করোনার প্রার্দুভাবের কারণে গত ২৫ মে থেকে ভোমরা বন্দরের সকল আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আজ (শনিবার) সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুরুর প্রথমদিনে ১৩ টি ট্রাক প্রবেশের কথা করেছে। বন্দরে আবারও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। বন্দর বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে ১৭৪ কোটি টাকা।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এনাম হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমান পর্যন্ত (বেলা ৩টা ৫০ মিনিট) পাঁচটি মালবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। শুরুর প্রথমদিনে কতগুলো ট্রাক প্রবেশ করবে সেটির সঠিক সংখ্যা এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সিদ্ধান্ত করে রপ্তানি কবে নাগাদ চালু হবে সেটির বিষয়ে পরে জানাবেন। এ ব্যাপারে সম্ভাব্য দিনক্ষণও জানা যায়নি।
তিনি বলেন, বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। টানা ৮৭ দিন বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ২৬১ কোটি টাকার।