ভিয়েতনামে সুযোগ হারালে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন: জ্যেষ্ঠ কোরীয় বিনিয়োগ কর্মকর্তা
ভিয়েতনামে বিনিয়োগের সুযোগ হারানো যেসব কোম্পানি চীন থেকে তাদের কারখানা সরিয়ে নিতে চাচ্ছে, তাদের উচিত বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিবেচনা করা। বাংলাদেশে এখন ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ তৈরি হচ্ছে এবং ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ও উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগসুবিধা প্রদান করছে। এসব কথা বলেছেন কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি'র গ্রিন গ্রোথ ডিপার্টমেন্ট-এর মহাপরিচালক জং ওন কিম।
রাজধানীতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৩-এর দ্বিতীয় দিনে 'বাংলাদেশ ১০০ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট অপারচুনিটিজ ইন কি সেক্টরস ফর ইনভেস্টরস টু লেভারেজ' শীর্ষক প্লেনারি সেশনের একজন প্যানেলিস্ট হিসেবে এ মন্তব্য করেন কিম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তার কিনোটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যাত্রার শক্তি, সামাজিক সূচকগুলোতে অসাধারণ উন্নয়ন, ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে থাকা সুযোগসমূহ উপস্থাপন করেন।
গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি পাঁচগুণ বড় হয়েছে, বার্ষিক গড় হার দাঁড়িয়েছে ৬ শতাংশের বেশি। এছাড়া প্রতি দশকে জিডিপির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ১০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর দশকব্যাপী রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। এ প্রবৃদ্ধি দেশে বিনিয়োগকারী আকর্ষণ করতে সাহায্য করেছে। আগামী এক দশকেরও কম সময়ে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান সুবিধাজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের সবচেয়ে সক্রিয় বাজারগুলোর নাগালেও সহজে পৌঁছাতে পারছে বাংলাদেশ।
সেশনে বাংলাদেশের কস্ট কম্পিটিটিভনেস উপস্থাপন করেন রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, বড়বড় সমধর্মী অর্থনীতির তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা মজুরির দিক থেকে ৪৭-৮৪ শতাংশ, ব্যবস্থাপকদের বেতনের ক্ষেত্রে ৪১-৬৯ শতাংশ, পানি ও বিদ্যুৎ খরচে যথাক্রমে ৮৯ ও ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ কমাতে পারবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও কর চুক্তিসমূহ এবং সু-কর্মনীতির বিষয়ে বৈশ্বিক প্রথার প্রতি উন্মুক্ত থাকার মনোভাব দেশের বাণিজ্য সুযোগের ক্ষেত্রে বাড়তি শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
সেশনটির সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। মডারেশনের দায়িত্বে ছিলেন এফবিসিসিআই'র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৩-এ স্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি, বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থা, এবং দেশে ও বিদেশের মন্ত্রীরা উপস্থিত হয়েছেন।