দুই দশকে প্রজনন প্রক্রিয়ায় ইলিশের অংশগ্রহণ বেড়েছে ১০৩ গুণ
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, ২০২২ বাস্তবায়ন করায় বছরটিতে ৫২ শতাংশ ইলিশ সফলভাবে প্রজনন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়, যা ২০০১-০২ মৌসুমের তুলনায় ১০৩ গুণ বেশি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান। প্রতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং এ সময় ইলিশ ধরায় নানা ধরনের বিধিনিষেধ ও প্রদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার।
শ ম রেজাউল করিম জানান, ৫২ শতাংশ ইলিশ প্রজনন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার কারণে এ বছর ৪০.২৭ কোটি জাটকা নতুন করে ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, 'ইলিশ মাছ সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য 'করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন'।
দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০ জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন নির্ধারণ, জাটকা নিরাপদে বৃদ্ধির জন্য ১ নভেম্বর হতে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৮ মাস জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ নদ-নদীতে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও নির্দিষ্ট সময়ে এ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, নিষিদ্ধকালে জেলেদের প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতি দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৮ লাখ মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫.৬৭ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।