পুঁজিবাজারের আরও ২৩ কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত ৩৭৯ শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, কর্পোরেট বন্ড ও ডিবেঞ্চার থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পরে সহনীয় নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা গেছে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই প্রেক্ষাপটে, আরও ২৩ কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করেছে।
এই ২৩ কোম্পানি হলো– বারাকা পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ ফাইন্যান্স, ডরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, কেডিএস এক্সেসরিজ, কাট্টলি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, পদ্মা অয়েল, সায়হাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
মঙ্গলবার থেকে এসব কোম্পানির শেয়ারের নিয়মিত লেনদেন করা যাবে।
ফ্লোর প্রাইস হচ্ছে- শেয়ারের বেধে দেওয়া সর্বনিম্ন দাম। এর নিচে দাম নামার সুযোগ ছিল না।
এখন ফ্লোর প্রাইস আরোপ রয়েছে মাত্র ১২টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর। আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিএসইসি জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এসব শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ থাকবে।
এই ১২টি কোম্পানি হলো– আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বা বিএটিবিসি, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ওরিয়ন ফার্মা, রেনেটা, রবি আজিয়েটা ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ার লেনদেনে সর্বনিম্ন এই মূল্যসীমা (ফ্লোর প্রাইস) আরোপ করা হয়। এরপরে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি।
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম দিন রোববার লেনদেন বড় পতন দিয়ে শুরু হলেও– পরে দিনশেষে ৯৬ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়।
সোমবারের লেনদেন ও মুল্যসূচকের ঊর্ধমুখীতায় লেনদেন শেষ হয়। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এক হাজার কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।