‘পাওনাদারের ভয়ে’ সশরীর অফিস করতে পারছেন না ইভ্যালির সিইও রাসেল
পাওনাদার গ্রাহকের চাপ ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হওয়ার ভয়ে তিন মাস ধরে সশরীর (ফিজিক্যাল) অফিস করতে পারছেন না ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। এতে ব্যবসার গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হচ্ছে।
নিরাপদে সশরীর অফিস করার পরিস্থিতি তৈরির জন্য সহযোগিতা চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বৃহষ্পতিবার (১১ জুলাই) জুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ইভ্যালির সিইও।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, 'আমরা যখন কাউকে টাকা দিচ্ছি, তথন অন্যরা এটা জেনে চাপ তৈরি করা শুরু করেন। তার হয়তো কোনো প্রভাবশালী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা নেগোশিয়েট করার মত কাউকে দিয়ে ফোন করান বা অফিসে এসে কোনো একটা বাজে পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছেন।
'এমনও দেখা গেছে, একজন গ্রাহক এসে হইচই করছেন টাকা পাওয়ার বিষয়ে, কিন্তু যখন আমরা তার বিস্তারিত জানতে চাইলাম তা তিনি বলতে পারেননি।'
রাসেল আরও বলেন, 'ধারাবাহিকভাবে আমরা সব গ্রাহকের টাকাই পরিশোধ করব এবং সেটা করব নিজেদের ব্যবসার মুনাফা থেকেই, যেটা এখন করছি।'
গ্রাহক ও বিক্রেতারা ইভ্যালির কাছে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছেন। এর মধ্যে গত ৬ মাসে ২.২৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে ইভ্যালি। এর মধ্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪৭ লাখ টাকা এবং ইভ্যালি সরাসরি ১.৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
প্রথম দিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযোগের বিপরীতে দেওয়া টাকা পরিশোধ অনুষ্ঠান করে করলেও এখন সেটা চুপিসারেই সারতে চায় ইভ্যালি। কারণ, পাওনাদার গ্রাহকের চাপ।
রাসেল বলেন, গত ৬ মাসে ইভ্যালি সাড়ে ৩ লাখ অর্ডার ডেলিভারি করতে পেরেছে। এর বিপরীতে নিট মুনাফা হয়েছে ২.৫ কোটি টাকা। সেখান থেকেই গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা এখন পণ্য বিক্রি করছি মুনাফা করে। এই মুনাফার টাকা থেকেই পাওনা পরিশোধ করতে হচ্ছে। যদি বড় বিনিয়োগ পাওয়া যেত, তাহলে হয়তো টাকাটা দ্রুত পরিশোধ করা সম্ভব হতো।'
এই পরিস্থিতিতে আগামী দুই মাস সাধারণ গ্রাহকদের কোনো টাকা পরিশোধ করবে না ইভ্যালি। এই দুমাস বিভিন্ন মিডিয়ায় থাকা বকেয়া টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্তের কথা জানান রাসেল।