ব্যাংকের ফ্রি টাকায় সালমান এফ রহমান যেভাবে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন
টিবিএস-এর হাতে আসা নথির তথ্যানুসারে, দেশের সাতটি ব্যাংকে—চারটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৬ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।
যে ব্যাংকগুলোতে ঋণ আছে, সেগুলো হলো: জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও এবি ব্যাংক।
মঙ্গলবার রাতে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সালমান এফ রহমানকে।
নথির তথ্যানুযায়ী, কিছু রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের অপব্যবহার করে সেগুলোকে দুর্বল ব্যাংকে পরিণত করেছেন সালমান।
নথি অনুযায়ী, সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জনতা ব্যাংকে ২৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকে ৯৬৫ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকে কাছে ১ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকে ২ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকে ৬ হাজার ৩১ কোটি টাকা ও এবি ব্যাংকে ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু আইএফআইসি ব্যাংকেই সালমান এফ রহমানের নামে-বেনামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শ্রেণিকৃত করার জন্য ওভারডিউ হয়ে গেলেও একাধিকবার পুনঃতফসিলের মাধ্যমে এসব ঋণের বেশিরভাগ অ-শ্রেণিকৃত রাখা হয়েছে।
জনতা ব্যাংক
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক গত বছর অন্য গ্রাহকদের বছর ঋণ দিতে পারেনি। কারণ, বেক্সিমকো গ্রুপ একাই ১৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা একক ঋণগ্রহীতাকে ঋণ দেওয়ার সর্বোচ্চ সীমার চেয়েও বেশি। অর্থাৎ ব্যাংকটির ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা বেক্সিমকো একাই ব্যবহার করে ফেলেছে।
বেক্সিমকো গ্রুপ নতুন নতুন কোম্পানি খুলে নতুন ঋণ নিয়ে জনতা ব্যাংকের সঙ্গে 'ডেবট সার্ভিসিং' (সুদসহ ঋণ পরিশোধ) অব্যাহত রেখেছে। অর্থাৎ গ্রুপটি নতুন ঋণ নিয়ে আগের ঋণ পরিশোধ করে গেছে।
টিবিএসের হাতে আসা নথি অনুসারে, শিল্পগোষ্ঠীটি জনতা ব্যাংকের স্থানীয় অফিস শাখা থেকে অন্তত ২৮টি কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছে।
এভাবেই বেক্সিমকো জনতা ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির করে দিয়ে ব্যাংকটিকে বিপুল লোকসানে ফেলেছে। ফলে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমানতকারীদের ১.১০ লাখ কোটি টাকা ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।
জনতা ব্যাংক ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে ৫৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা দেখিয়েছে। কিন্তু এটি প্রকৃত মুনাফা নয়। কারণ, ব্যাংকটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ না করার বিশেষ অনুমতি পেয়েছে। প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হলে জনতার ব্যাংকের ১ হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান হবে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
একক ঋণগ্রহীতাকে ঋণদানের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করার পরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ অনুমতি নিয়ে বেক্সিমকোর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া অব্যাহত রেখেছে জনতা ব্যাংক।
চলতি বছরের জুনে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেছিলেন, ঋণগ্রহীতারা ঋণ পরিশোধ না করায় জনতাসহ কয়েকটি ব্যাংকের আর নতুন ঋণ বিতরণের সক্ষমতা নেই।
মাহফুজুর রহমান বলেন, নতুন ঋণ বিতরণ না করে তারা খেলাপি ঋণ আদায়ের ওপর গুরুত্ব দেবেন।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল থেকে (ইডিএফ) বেক্সিমকো গ্রুপকে ৫৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল জনতা ব্যাংক। সেই ঋণও ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের বকেয়া ঋণের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এক বছর আগে জনতা ব্যাংককে ইডিএফ ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
ইডিএফ ঋণ দেওয়া হয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে। এই ঋণ রপ্তানিকারকদের খুব কম সুদহারে—৩ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ—দেওয়া হয়।
বেক্সিমকো গ্রুপের আমদানি বিল পেমেন্ট না করা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অনেক বিদেশি ঋণদাতা জনতা ব্যাংককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
আমদানি বিল না দেওয়ায় বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ঢাকায় ভারতীয় কমিশনে অনেকগুলো অভিযোগ দিয়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। এরকম বেশ কিছু অভিযোগ দেখেছে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
এসব সমস্যার পরও জনতা ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, উল্টো হাসিনা সরকারের পতনের পর সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার আগপর্যন্ত ঋণ দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
আইএফআইসি ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকের শীর্ষ ৩০ বড় ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় দশটির মালিক সালমান এফ রহমান। তিনি আবার ব্যাংকটির চেয়ারম্যানও।
আইএফআইসি ব্যাংকের শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে রয়েছে শ্রীপুর টাউনশিপ; এ প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ২০ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকটিতে সানস্টার বিজনেসের ঋণের পরিমাণ ৬১৫ কোটি টাকা, ফারইস্ট বিজনেসের ঋণ ৬১৪ কোটি টাকা, কসমস কমোডিটিস লিমিটেডের ঋণ ৬১২ কোটি টাকা ও উত্তরা জুট ফাইবারসের ঋণ ৫৫২ কোটি টাকা। তাছাড়া অ্যাবসোল্যুট কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ঋণ ৪৬৩ কোটি টাকা, অ্যাপোলো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ঋণ ৪৫৫ কোটি টাকা, অল্ট্রন ট্রেডিং লিমিটেডের ঋণ ৪৪৯ কোটি টাকা ও নর্থস্টোন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ঋণ ৪২১ কোটি টাক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব কোম্পানি সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যুক্ত।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক থেকে আসাদ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নামে ৪২৬ কোটি টাকা ও সার্ভ কনস্ট্রাকশনের নামেও ৪০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই সালমানের সঙ্গে যুক্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিমের একজন সদস্য বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন নামে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান থাকলেও ঋণগুলো আসলে বাগিয়ে নিয়েছেন সালমান এফ রহমান। ওপরের উল্লেখিত এগারোটি প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণ রয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন পরিচালক বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু ছোট ঋণও রয়েছে। এসব কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যেই প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'সালমান এফ রহমানের বেনামি এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগের ঠিকানা গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা এলাকায়। সরেজমিনে গেলে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো যথার্থ কর্মক্রম পাওয়া যায় না।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে আইএফআইসি ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ ৪১ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৬.২৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিশদ পরিদর্শনে দেখা গেছে, আইএফআইসি ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বা ২৪ শতাংশ।
ওই পরিদর্শনে আরও উঠে এসেছে, আইএফআইসি ব্যাংকে সালমান এফ রহমানের নামে-বেনামে ঋণ রয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
ন্যাশনাল ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ব্লুম সাকসেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ৮৩৬ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এছাড়া এ ব্যাংকে সালমানের বেক্সিমকো গ্রুপের ৮২৩ কোটি টাকা এবং বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট ১-২-এর ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংক
অগ্রণী ব্যাংকে বেক্সিমকো লিমিটেডের ঋণ রয়েছে ৬৬৩ কোটি টাকা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ঋণ আছে ৩৭৫ কোটি টাকা এবং বেক্সিমকো কমিউনিকেশন লিমিটেডের ঋণ আছে ৩৭১ কোটি টাকা।
এবি ব্যাংক
এবি ব্যাংকে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণ রয়েছে ৬০০ কোটি টাকা।
যেভাবে আইএফআইসি ব্যাংকের অপব্যবহার করা হয়েছে
মাত্র ২ শতাংশ শেয়ারের মালিক হয়েও ২০১০ সাল থেকে গত ১৪ বছর ধরে আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ ধরে রেখেছেন সালমান এফ রহমান। ২ শতাংশ শেয়ার নিয়ে তার ছেলে ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান। আর ব্যাংকটির ৩২.৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সরকার। বাকি ৬১ শতাংশ শেয়ারের মালিক সাধারণ শেয়ারধারীরা।
চেয়ারম্যান থাকাকালে আর্থিক কারসাজির মাধ্যমে সালমান এফ রহমান ব্যাংকটির সম্পদের অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গত বছর আইএফআইসি ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্বে নবগঠিত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের (এসটিএল) অনুকূলে ১ হাজার কোটি টাকার 'আইএফআইসি আমার বন্ড' ইস্যু করে।
আমার বন্ডের গ্যারান্টি দিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। এর অর্থ, ১ হাজার কোটি টাকার সম্পূর্ণ দায় ব্যাংকের, যা শেষপর্যন্ত ব্যাংকটির মূলধন নষ্ট করে এবং আমানতকারীদের অর্থ ঝুঁকিতে ফেলে।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সুদ পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতা মূল্যায়ন না করেই একটি নতুন প্রকল্পের জন্য এই বৃহৎ বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে।
এসটিএল প্রকল্প ব্যর্থ হলে প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও আইএফআইসি ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের ঋণ পরিশোধে দায়বদ্ধ থাকবে।
এই গ্যারান্টি স্বার্থের সংঘাতও বটে। কারণ, আইএফআইসি ব্যাংক ও এসটিএল উভয় জায়গাতেই শেয়ার আছে সালমান এফ রহমানের।
ব্যাংকটি যখন চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য অর্থায়ন সংগ্রহ করছিল এবং এসটিএলের বন্ডের প্রচারণার জন্য জনসাধারণের অর্থ ব্যয় করছিল, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয় পুরোপুরি উপেক্ষা করে গেছে।
চড়া ১২ শতাংশ সুদে বন্ডের গ্যারান্টি দিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। অথচ এসটিএল গত বছরের মার্চেই প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া টাউনশিপ নির্মাণ তো দূরের কথা, প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাট নির্মাণ বা প্লট ডেভেলপমন্টের অভিজ্ঞতাও ছিল না।
এই দুর্নীতির পরও কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রশ্ন তুলতে সাহস পায়নি। পরে চলতি বছরের মার্চে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম তার মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে বেক্সিমকোকে এসটিএলে বিনিয়োগের জন্য বন্ড ইস্যু করে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমতি দেন।
এর ফলে বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন না পাওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে দিয়ে সালমান এফ রহমান তার নতুন রিয়েল এস্টেট কোম্পানির জন্য মোট ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পারেন।