ঋণ খেলাপির দায়: ওয়ান ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ, তাঁর স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ওয়ান ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ১২ কোটি পাওনার বিপরীতে সাউথইস্ট ব্যাংকের দায়ের করা মামলায়— চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ১২ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাওনা আদায়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এইচআরসি সিন্ডিকেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সাউথইস্ট ব্যাংক।
ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখা থেকে ঋণ সুবিধা নেয় এইচআরসি সিন্ডিকেট। এরপর ঋণ পরিশোধ না করে ২০১৯ সাল পর্য়ন্ত একাধিকবার ঋণটি পুনঃতফসিল সুবিধা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে কোনো জামানত নেই।
আজ শুনানি শেষে আদালত পর্য়ালোচনায় উল্লেখ করেন- এইচআরসি সিন্ডিকেটের কর্ণধার সাঈদ হোসেন চৌধুরী ওয়ান ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ও তার স্ত্রী ফারজানা ৮৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার সমপরিমাণ ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার ধারণ করছেন। তাতে প্রতীয়মান হয়, তারা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে যথেষ্ট সামর্থ্যবান। কিন্তু তারা আইন আদালতের পদ্ধতিগত অপব্যবহারের সুযোগ নিয়ে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করছেন না।
বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, সার্বিক বিবেচনায় আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে তারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি। কোনো ঋণখেলাপি ব্যক্তি ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের বিধান মোতাবিক, কোনো ব্যাংকের পরিচালক পদে থাকতে পারেন না। তাই ইতোমধ্যে (গত ১ সেপ্টেম্বর) সাঈদ হোসেনকে ওয়ান ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়াও হয়।
একই মামলায় আজ বুধবার সাঈদ হোসেন ও তার স্ত্রী ফারজানাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
সাঈদ হোসেন চৌধুরী এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাঁর চা–সহ শিপিং ব্যবসা রয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের ১২ কোটি ছাড়াও — এইচআরসি গ্রুপের কাছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৭২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন আদালত।