বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকে ২.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব পেল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্ট্র্যাকচারাল রিফর্ম, পরামর্শ মোতাবেক পলিসি ইমপ্লিমেন্টেশন (নীতি বাস্তবায়ন), ইনভেস্টমেন্ট লোনসহ বেশ কয়েকটি প্যাকেজে বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)- এর কাছে থেকে মোট ২.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল রোববার (১৫ সেটেম্বর) বিশ্বব্যাংক ও এডিবি'র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে টিবিএসকে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক হুসনে আর শিখা।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্যাকেজের প্রস্তাব দিয়েছে; এরমধ্যে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার হলো পলিসি-বেজড লোন (পিবিএল)— যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট নীতি বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হবে।
এছাড়া, আরো ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট লোন (বিনিয়োগ ঋণ) বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র।
সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "কী ধরনের পলিসি আমাদের নিতে হবে, এ নিয়ে বিশ্বব্যাংক এখনো পর্যন্ত সরাসরি আমাদের কিছু বলেনি। তবে তারা অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ, অডিট করাসহ ব্যাংক রিফর্ম টাস্কফোর্সের কিছু কাজের কথা উল্লেখ করেছে।"
এদিকে, এডিবির প্রস্তাবের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, এডিবি ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ইনভেস্টমেন্ট লোনসহ (বিনিয়োগ ঋণ) তিন ধাপে ১.৫ বিলিয়ন ডলার পলিসি-বেজড লোনের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে মোট পরিমাণের ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হবে।
সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "সরকার এখন যেসব রিফর্ম কার্যক্রম চালাচ্ছে, বিশ্বব্যাংক সেখানে পলিসি সাপোর্ট দেবে। সরকারের পক্ষ থেকে এডিবি, জাইকা, ইউএসএআইডি'র মতো অর্গানাইজেশনগুলোর কাছে থেকে আমরা রিফর্মের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিস্টেনস নেওয়ার কথা বলেছি। সে ধারাবাহিকতাতেই বিশ্বব্যাংক এবং এডিবি ঋণ প্রস্তাব দিয়েছে।"
"এছাড়া, সংগঠন দুটির কাছে রিফর্ম এক্টিভিটির অংশ হিসেবে দেশের ম্যাক্রোইকনোমিক পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিফর্ম পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ জানানো হয়েছে," যোগ করেন তিনি।
এর বাইরে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেন্ট নিম্যানের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সাথে দেখা করেছে। তাদেরও দেশের ম্যাক্রোইকনোমিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান মুখপাত্র হুসনে আরা।
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নিশ্চিত করেন, মার্কিন ট্রেজারি টিম কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণের পরিমাণ সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেনি।