জানুয়ারিতে চালু হচ্ছে ক্যাম্পাস-ভিত্তিক প্রথম বিজনেস ইনকিউবেটর
নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) যাত্রা শুরু হচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস-ভিত্তিক প্রথম বিজনেস ইনকিউবেটরের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল স্মরণে 'শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর' হিসেবে এর নামকরণ করা হয়েছে।
১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৪ দশমিক ৭ একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয়েছে এই আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। যেখানে ২৫০ জন উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সেবা-পরামর্শ দিয়ে তাদের ব্যবসার বিকাশে সহায়তা দেওয়া হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্তাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।
চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এখন একটি বাস্তবতা। ইতোমধ্যে বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বিশ্বে তাক লাগিয়েছে চীন ও ভারত। সে পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ক্যাম্পাস ভিত্তিক 'শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর'।"
উপাচার্য আরো বলেন, "আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন মেধাবী জনশক্তি দ্বারা পরিচালনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যা সৃষ্টিশীল তরুণদের জন্য খুলে দেবে অপার সম্ভাবনার দ্বার।"
ভিত্তিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ
এক যুগ আগে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের ভিত্তি ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। সময়ের পরিক্রমায় সেই স্বপ্ন আজ সত্যি। এবার ২০৫০ সালের মধ্যে একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার ভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রধান হাতিয়ার তথ্য-প্রযুক্তিকেই (আইসিটি)। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-ভিত্তিক প্রথম বিজনেস ইনকিউবেটর। ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডিন এবং চুয়েটে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম মশিউল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ক্লাউস সোয়াব ২০১৬ সনে তার 'দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোল্যুশন' নামক বইয়ে সর্বপ্রথম 'চতুর্থ শিল্প বিপ্লব' কথাটি ব্যবহার করেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এখন একটি বাস্তবতা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটছে মূলত ইন্টারনেটের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যোগের মাধ্যমে। এই বিপ্লবের যুগে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে অবস্থান করেও যে কেউ ইনোভেটিভ কোনো আইডিয়া/স্টার্টআপের মাধ্যমে গোটা দুনিয়াকে নিজের প্রতিভার কথা জানান দিতে পারেন। সাথে রয়েছে মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলারের হাতছানি। হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল উদ্যোক্তা। আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সে সুযোগ করে দিতে যাচ্ছি।"
শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর
বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য একটি কার্যকরী ব্যবস্থা। এই গুরুত্ব বিবেচনা করে, ২০১২ সালে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের ৬ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ২৬তম সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের অনুমোদন দেন। শুরুর দিকে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮২.০২ কোটি টাকা। পরবর্তী ধাপে সেই ব্যয় ৯৪.২৫ কোটি থেকে ১১৭.৭ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে প্রায় ১২৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও চুয়েটে আইইটি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, "পৃথিবীর সর্বত্র নতুন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক গবেষণাকেই প্রধান্য দেওয়া হয়। তরুণদের উদ্ভাবনের পথ ধরেই এসেছে বিশ্বজয়ী প্রযুক্তি। চুয়েটে স্থাপন হতে যাওয়া ইনকিউবেটর আমাদের সে সুযোগ করে দেবে।"
যা থাকছে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে
রোববার কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের রাউজান পাহাড়তলীতে সরেজমিনে গিয়ে চোখে পড়ে প্রকল্প এলাকায় শেষ মুহুর্তের ব্যস্ততা। দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্তের উন্মোচনের অপেক্ষার প্রহর গুনছে পুরো চুয়েট ক্যাম্পাস।
শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্পের আওতায় ৫ একর জমির উপর ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলাবিশিষ্ট একটি ইনকিউবেশন ভবন এবং ৩৬ হাজার বর্গফুটের ৬ ও ৪ তলাবিশিষ্ট দুটি মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন তৈরি হয়েছে। ইনকিউবেশন ভবনে রয়েছে- স্টার্টআপ জোন, ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেইনস্ট্রর্মিং জোন, এক্সিবিশন সেন্টার, ই-লাইব্রেরি জোন, ডাটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব, ভিডিও কনফারেন্সিং কক্ষ ও সভাকক্ষ।
এছাড়া ব্যাংক ও আইটি ফার্মের জন্য পৃথক কর্ণার, অত্যাধুনিক সাইবার ক্যাফে, ফুড কোর্ট, ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন জোন, মেকার স্পেস, ডিসপ্লে জোন ও মিডিয়া কাভারেজ জোনও থাকবে।
অন্যদিকে মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবনে রয়েছে ২৫০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সুসজ্জিত অডিটোরিয়াম এবং ৫০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন পৃথক ৪টি কম্পিউটার ল্যাব কাম সেমিনার কক্ষ।
পাশাপাশি প্রতিটি ২০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ৪ তলাবিশিষ্ট পৃথক দুটি (১টি নারী, ১টি পুরুষ) আবাসিক ডরমিটরি ভবন । প্রতিটি ডরমিটরিতে ৪০টি কক্ষ।
এছাড়া স্থাপন করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ল্যাব, একটি মেশিন লার্নিং ল্যাব, একটি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকবোন, একটি সাব-স্টেশন ও সোলার প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, "দেশের যশোর-সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় দু-একটি বিজনেস ইনকিউবেটর হলেও, আমাদের এই প্রকল্পটিতে মিলবে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রযুক্তি সুবিধা। এছাড়া দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী বিজ্ঞানী ও প্রশিক্ষকদের দ্বারা এটি পরিচালিত হবে।
যে সেবা মিলবে ইনকিউবেটরে
আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর মূলত একটি ইন্টিগ্রেটেড প্রতিষ্ঠান। যেখানে সম্ভাব্য উদ্যোক্তা ও সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সমাবেশসহ উদ্যোক্তাদের আবাসিক সংস্থান, অফিস সরঞ্জাম ও প্রশাসনিক সহায়তার ব্যবস্থা থাকবে।
অধ্যাপক ড. এম মশিউল হক বলেন, "আমাদের যে আয়োজন তাতে মোট ২৫০ জনকে সুযোগ দিতে পারবো। প্রাথমিকভাবে আমরা ২০ স্টার্টআপকে কাজের সুযোগ দিয়ে ইনকিউবেটরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবো। এই লক্ষ্যে সিলেকশন রাউন্ড চলছে, প্রথম রাউন্ডে সাড়ে ৭ হাজার আইডিয়ার উপর যাচাই-বাছাই করে আমরা ২৫০ জনকে নির্বাচন করেছি। পরবর্তী ধাপে সেখান থেকে ২০ জনকে বেছে নেওয়া হবে, ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা সেই নামগুলো পেয়ে যাবো।"
"এখানে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা প্রত্যেকে নিজেদের প্রজেক্টটি বাস্তবায়নের জন্য ১০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবেন। যা দিয়ে উদ্যোক্তা তার লজিস্টিক সাপোর্ট ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়া পরবর্তী এক বছর তারা ইনকিউবেটরের ল্যাব, ইন্টারনেট, টেলিফোন, বিদ্যুৎ এবং একটি করে অফিস তারা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া থাকা-খাওয়ার সকল সুবিধা এখানে আছে", বলেন অধ্যাপক ড. এম মশিউল হক।
"একই সাথে ইন্ডাস্ট্রিগুলোও ইনকিউবেটরে খুব কম খরচে অফিস নিতে পারবে। তারা নতুন স্নাতকদের কাজে লাগিয়ে তাদের প্রাথমিক কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। আবার শিক্ষার্থীরাও ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা অর্জন করবেন।"
ইনকিউবেটরে খুলবে সৃজনশীল তরুণদের সম্ভাবনার দ্বার
দেশের তরুণরা এখনও শুধু চাকরির পেছনে ছুটছেন। নানা প্রতিকূলতার কারণে তারা উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস দেখাতে পারছে না। কিন্তু আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর দেশের প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজ করে দেবে। এই ইনকিউবেশন সেন্টারে বসে সৃজনশীল আইডিয়া কাজে লাগিয়ে যে কেউ তৈরি করতে পারবেন স্টার্টআপ বা প্রোডাক্টিভ সার্ভিস, যা বাজারজাত করার দায়িত্ব নেবেন ইনকিউবেটর সংশ্লিষ্টরা। এভাবেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের একজন দক্ষ কারিগর ও সফল উদ্যোক্তা গড়ে তুলবে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর।
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. এম মশিউল হক জানান, "এ পর্যন্ত বিজনেস ইনকিউবেটরে সুযোগ পেতে যারা আবেদন করেছে তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিশেষ করে চুয়েটসহ আশপাশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চতুর্থ ও মাস্টার্স বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রচুর প্রজেক্ট ও থিসিস করে। এই প্রজেক্টগুলোর অধিকাংশই সম্ভাবনাময়। কিন্তু প্রপার গাইডেন্স, মনিটরিং ও অর্থিক অভাবের কারণে তাদের প্রজেক্টগুলো আর আলোর মুখ দেখে না। মূলত তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইউনিভার্সিট প্রজেক্টগুলোকে কীভাবে রিয়েল ওয়ার্ল্ড প্রজেক্ট এবং প্রডাক্টে কনভার্ট করা যায় আমরা সে কাজ করছি। সেখানে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে।"
অধ্যাপক ড. এম মশিউল হক বলেন "এমনকি কোনো উদ্যোক্তা যদি আমাদের ইনকিউবেটর থেকে কিছু শিখে, কিন্তু তার স্টার্টআপটি সফল হয়নি বা বর্তমান মার্কেটে তার প্রজেক্টটির ডিমান্ড নেই, এমন পরিস্থিতিতে ওই উদ্যোক্তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরির ব্যবস্থাও আমরা করে দেব।"
তিনি আরো বলেন, "এছাড়া এসব তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রজেক্টগুলোকে হাই লেভেল মনিটরিংয়ে রাখা হবে। এজন্য বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের বাইরে একটি এক্সপার্ট প্যানেল তৈরী করা হবে, সেই প্যানেল থেকে প্রজেক্ট ওয়াইজ একজন করে মেন্টর নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, যিনি পুরো বিষয়টি মনিটর করবেন। পাশাপাশি প্রজেক্টটি যেন ডেভেলপ হয়, সেজন্য উদ্যোক্তাকে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পার্টনারশিপ তৈরী করে দেওয়া হবে। এছাড়া মেধাসত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রেও উদ্যোক্তাকে সহায়তা দেওয়া হবে।"
তড়িৎ ও তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফfহিম উদ্দিন বলেন, "চুয়েট শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনে বরাবরই আগ্রহী। নদীভাঙ্গন রোধে পরিবেশবান্ধব সিমেন্ট ব্লক নির্মাণসহ রোবোটিক্সে দারুণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তারা। কিন্তু আর্থিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় নার্সিংয়ের অভাবে তরুণদের অভাবনীয় উদ্যোগগুলো হারিয়ে যায়। আমরা আশা করছি বিজনেস ইনকিউবেটরের মত সুবিধা যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার যথার্থ্য মূল্যায়ন পাবেন।"
আর্কিটেকচার বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসনিয়া মাসিয়াত বলেন, "শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটরের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে আরও বেশি আইটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্লাটফর্মে কাজ করতে পারবো। তবে কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের চাওয়া, নারীদের সীমাবদ্ধতার কথাগুলো মাথায় রেখে তাদের জন্য যেন বিশেষ সুযোগ রাখা হয়।"
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরচিালক হোসনে আরা বেগম বলেন, "শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্পটিকে বর্তমান সরকার একটি 'ড্রিম প্রজেক্ট' হিসেবে বিবেচনা করছে। সরকার যে কোনোভাবে দেশের প্রথম এই উদ্যোগের সফলতা দেখতে চাইছে। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, আগ্রাবাদের সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও আইটি পার্ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের আইটি পার্ক তৈরীর মাধ্যমে পুরো চট্টগ্রামকে ঘিরে একটি 'আইটি বিজনেস হাব' গড়ে তোলার কাজ চলছে।"