যে দ্বীপে যেতে মানা
চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এর ফলে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন থেকে আগত পর্যটকদের মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।
শুক্রবার জারি করা এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, চীন থেকে আসা যেকোনো পর্যটককে মার্শাল দ্বিপপুঞ্জে প্রবেশের আগে এমন একটি দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সময় কাটাতে হবে, যেটি নতুন করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত নয় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত। এমন তথ্যই জানান দেশটির স্বাস্থ্য সচিব জ্যাক নিয়েডেনথাল।
আর ১৪ দিন পার হবার আগেই যদি কেউ এখানে প্রবেশের চেষ্টা করে তবে তাকে বাধা দেওয়া হবে বলে এই নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়।
চীনের উহান শহরে উদ্ভুত এই করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকাতে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চীনে ইতোমধ্যে ১২০০ জনেরও বেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে অর্ধশত।
কয়েকশো লোককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং চীন সরকার এই ভাইরাসের বিস্তার রোধের লক্ষ্যে উহান ও অন্যান্য শহর থেকে ভ্রমণ বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
চীন যখন তার সবচাইতে বড় উৎসব চন্দ্র নববর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছে, এমন ব্যস্ততম সময়ই শুরু হলো এই রোগের প্রকোপ। আর এই সময়টাতেই চীনে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায়।
গত আগস্ট মাস থেকেই জরুরি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের স্বাস্থ্য খাত। প্রায় ২১০০ ডেঙ্গু রোগীর পর নভেম্বর-ডিসেম্বরে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রন্ত হয় হাজার হাজার দ্বীপবাসী।
আর তারপর সামোয়ায় মিজলস রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৯০ জনের মৃত্যুর পর করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন হয়ে উঠেছে মার্শাল প্রশাসন। পরপর চারটি মারাত্মক রোগের ধাক্কা নেওয়ার শক্তি নেই জানিয়ে জ্যাক নিয়েডেনথাল বলেন, চারটি মহামারী রোগের ধাক্কা সামলানো সম্ভব নয়, তাই এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
অন্যান্য এশিয়ান দেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এসমস্ত দেশে চিকিৎসা সুবিধা, বিশেষায়িত ওয়ার্ড এবং বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা আছেন। আর এখানে মার্শাল দ্বীপের একমাত্র মাজুরো বিমানবন্দরে একটি বিশেষায়িত বচ্ছিন্ন ওয়ার্ডই নেই।”