২০৩১ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়বে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন!
আর মাত্র এক দশক পরেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) বন্ধের পরিকল্পনা করেছে নাসা। ২০৩১ সালে মহাকাশ স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ডুবিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে রয়েছে মহাকাশ স্টেশন। ১৯৯৮ সাল থেকে ভরশূন্য অবস্থায় স্টেশনটি দিন-রাত প্রায় দেড় ঘণ্টা অন্তর এক বার করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনএন-অনুযায়ী, বয়সের কারণে মহাকাশ স্টেশনের দেহে অসংখ্য ফাটল দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া পৃথিবীর কক্ষপথে জমা নানা মহাকাশ-বর্জ্যের ('স্পেস ডেব্রি' বা 'স্পেস জাঙ্ক') কারণে মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানকারী নভোচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০৩১ সালে সেটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা।
বন্ধ করার পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে পৃথিবীর কক্ষপথে রাখতে চায় না নাসা। স্টেশনটি মহাকাশে রাখলে ভবিষ্যতে মহাকাশ-বর্জ্যের পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, ভবিষ্যতে মহাকাশযান এবং নভোচারীদের বিপদের আশঙ্কাও বাড়াবে আইএসএস।
স্পেস স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগড়ের পয়েন্ট নিমোতে স্প্ল্যাশ-ল্যান্ডিং করবে। যেকোনো ধরনের ভূমি থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরের এই পয়েন্টটি মহাকাশযানের কবরস্থান হিসেবে পরিচিত। বিচ্ছিন্ন মহাকাশ স্টেশন, পুরনো স্যাটেলাইট এবং অন্যান্য মহাকাশযানের শেষ ঠিকানা পয়েন্ট নিমো।
একে 'যেকোনো মানব সভ্যতার থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী একটি জায়গা' বলে উল্লেখ করেছে নাসা।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছরই কয়েক কোটি ডলার খরচ হয় নাসা-র। আমেরিকার করদাতাদের ভার কিছুটা কমাতে শেষ কয়েক বছর গবেষণার পাশাপাশি মহাকাশ স্টেশনটি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারেরও পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। রয়েছে মহাকাশ পর্যটনের দরজা খোলা এবং ফিল্ম স্টুডিও গড়ে তোলার প্রস্তাবও।
ডিসেম্বরে নাসা জানিয়েছিল, মহাকাশ স্টেশনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য তিনটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
- সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া