জোরপূর্বক গুম রাষ্ট্রদ্রোহিতা: ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি
জোরপূর্বক গুমকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সাথে তুলনা করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ। নিখোঁজ সাংবাদিক মুদাসসার নারোর মামলার শুনানির সময় শুক্রবার (১ এপ্রিল) এ কথা বলেন তিনি।
লাহোরের সাংবাদিক নারো ২০১৮ সালের আগস্টে নিখোঁজ হন।
শুনানিতে তিনি বলেন, "জোর করে গুম করা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এটা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা।"
তিনি আরও বলেন, সংবিধান মেনে চলা কোনো দেশে জোরপূর্বক গুম গ্রহণযোগ্য নয়।
মুদাসসার নারোকে উদ্ধার করতে অক্ষম হওয়া কি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার পরিচয় কিনা- এ নিয়ে প্রশ্ন রাখেন তিনি। মিনাল্লাহ আরও বলেন, ফেডারেল এবং প্রাদেশিক সরকারগুলোর এ বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল।
"কাউকে কি তাদের [ফেডারেল এবং প্রাদেশিক সরকার] ইচ্ছা ছাড়া গুম করা যেতে পারে? না, তা করা যায়না," বলেন তিনি।
"একজন নাগরিক নিখোঁজ হওয়া রাষ্ট্রের অযোগ্যতা প্রকাশ করে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকলে নির্বাহী বিভাগ দায়ী। কেন আমরা নির্বাহী বিভাগকে এর জন্য দায়ী ঘোষণা করছি না?" প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বিচারক আরও বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারাগুলো জোরপূর্বক গুমের মামলায় প্রয়োগ করা হয়।
২০১৮ সালের ২০ আগস্ট লাহোরের বাসিন্দা মুদাসসার নারো নিখোঁজ হন। পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে স্ত্রী সন্তানের সাথে থাকা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর তার স্ত্রী সাদ্দাফ চুঘতাই, একজন শিল্পী ও অ্যাক্টিভিস্ট, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। রেখে যান তাদের ৪ বছরের ছেলে সচলকে।
পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট (পিএফইউজে) এ পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তদন্তের দাবি জানায়। তারা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং মানবাধিকার মন্ত্রী শিরীন মাজারির কাছে মামলাটি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
- সূত্র: দ্য নিউজ