ঝাঁকি দিতে হইব!
আজম খানকে আমি প্রথম দেখি বিটিভিতে। কী গান এখন আর মনে নাই। খুব সম্ভবত 'বাংলাদেশ'। জেলা শহরে বড় হওয়ার কারণে তাঁর কোনো শো দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আজম খানের গান যে আমার খুব একটা ভালো লাগত, তা-ও না।
আসলে লেট নাইন্টিজে বা আর্লি টু থাউজেন্ডে যখন ব্যান্ড মিউজিক বা অন্যান্য গান-বাজনার সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটছে, আজম খান ও তাঁর ব্যান্ড উচ্চারণ তখন অনেকটা বিস্মৃতির দিকে চলে যাচ্ছেন বা গেছেন। আজম খান আমার কাছে কোনো রেবেল ছিলেন না, ছিলেন 'সময় এখন বর্ষাকাল' গাওয়া রকের বুড়ো ঘোড়া। প্রচণ্ড আবেগ দিয়ে হেঁড়ে গলায় রক আর ফোকের মিশেলে যে গান তিনি ধরতেন, সেটা বুঝতে আমার বহু বছর লেগে যাবে, সেই গল্পটাই আজ করব।
একটা বিজ্ঞাপনে প্রথম আজম খানের মিউজিকের স্ট্রাগল সম্পর্কে জানতে পারি। তারও আগে বা পরে আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে 'গুরু তোমায় সালাম' বিজ্ঞাপন। কিন্তু একটা কনসার্ট এক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট।
২০০৫ সালে বড় একটা ফেস্টিভ্যাল হয় ঢাকায়। উপমহাদেশের বাঘা বাঘা সব রকব্যান্ড সেটাতে অংশ নেয়। আমি সেই কনসার্টে যেতে পারি নাই; কিন্তু এর বিশাল বড় বিজ্ঞাপন পত্রিকায় দেখেছি। আর কনসার্টের পরপরই স্লেট নামে একটা ইংলিশ ম্যাগাজিন কীভাবে করে জানি আমার হাতে এসে পৌঁছায়।
সেখানে আজম খান, জেমস, আইয়ুব বাচ্চু আর মাকসুদ- এই চার রকস্টারকে নিয়ে আলাদা আলাদা ফিচার করা হয়। আমি বুঝতে পারি, কোথাও একটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে!
তখন আমার পক্ষে এত গান শোনার মাধ্যম ছিল না যে নতুন করে আজম খানকে আবিষ্কার করব, আর ততটা আগ্রহও হয়নি। তত দিনে ধুমায়ে মেটাল শুনছি। আজম খান শোনার সময় কোথায়?
৬০-৭০-এর দশকের ওয়ার্ল্ড মিউজিকের সাথে আমার পরিচয় হলো যখন, বোঝার চেষ্টা করলাম আমাদের এখানে কী হয়েছে? একটু শুনে দেখি না! ধীরে ধীরে আজম খানের পুরো ইমেজটা আমার সামনে পরিষ্কার হতে থাকে।
কোভিড যখন সারা দুনিয়ায় হানা দেবে, তার ঠিক আগ মুহূর্তে হাতে এসে পড়ে ছোট্ট একটা বই, আর আজম খান নতুন করে আমাকে তাড়া শুরু করেন, যা আজ অবধি চলছে!
২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক ১৪টা ৩০ মিনিটের দিকে আমি বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে বই পড়ছি এমন একটা ছবি তুলতে সামনে বসে থাকা আমার স্ত্রীকে অনুরোধ করি। কী এমন বই, যেটা পড়ার সময়টাকে আমি ফ্রেমবন্দি করে রাখতে এত উদগ্রীব ছিলাম?
সেদিন আমি পড়ছিলাম 'The History of Bangladesh Rock, The legacy of Azam Khan'। লিখেছেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি রকার মাকসুদুল হক; যার বাংলা নাম বাংলাদেশের রকগাথা, আজম খানের উত্তরাধিকার। তর্জমা করেছেন তানভীর হোসেন। মজার বিষয়, এই বইটার বিক্রয়লব্ধ অর্থ লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক কেউই নেননি এবং এই পুরো টাকাটাই যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফান্ডে, সেটা জানতে পেরে যারপরনাই আনন্দ পেয়েছিলাম।
শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো, বাংলা ভাষাকে খ্যাত বলার অপরাধে আজম খানের হাতে চপেটাঘাত এবং অশ্রাব্য গালাগাল হেতু মাকসুদের বাংলা গানে আগমন বলে তিনি নিজে মনে করেন। ভাগ্যিস এমনটা ঘটেছিল, নইলে আমার নিজের কী কখনো গান গাওয়া হয়ে উঠত! এই ইংরেজি লেখাটা বাংলায় অনুবাদ করে তানভীর হোসেন যেন ডিস্ল্যাক্সিক মাকসুদুল হককে আবারও একপ্রকার দায়মুক্ত করলেন!
১৯৭১-এর জুন মাসের এক বৃষ্টিস্নাত রাতে। কুমিল্লার সালদাহে পাকিস্তানি আর্মির এক বাঙ্কার অ্যাটাকের দুর্ধর্ষ গেরিলা অপারেশন। 'এইসা মওকা ফির কাঁহা মিলেগা' গাইতে গাইতে শত্রুর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়া অব্যর্থ এক তরুণ গেরিলার কাহিনি এইভাবে শুরু হয়ে এগোতে থাকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলায় বিভ্রান্ত এক রকস্টার হয়ে ওঠার অদ্ভুত গাথায়।
১৯৭১ সালে ২ নম্বর সেক্টরের ২১ বছর বয়সী সেকশন কমান্ডার ও গেরিলা নেতা মাহবুবুল হক ওরফে আজম খান, ২০১১ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে দেহত্যাগের পরেও এখনো কীভাবে তাঁর 'ফাইট' জারি রেখেছেন, তাই মূলত ম্যাক তাঁর লেখায় ব্যবচ্ছেদ করেছেন।
এখানে বলে রাখা জরুরি, আজম খান, তাঁর ব্যান্ড উচ্চারণ, তাঁর সঙ্গীতের ধারা ও আজীবনের দর্শন বুঝতে হলে ১৯৭১ ও তার সমসাময়িক বিশ্বের গতিপ্রকৃতি ও '৭১-পরবর্তী বাংলাদেশের টালমাটাল সময়ের ঘটনাপ্রবাহ বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
খেলাঘরে আজম খানের গান অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার প্রেরণা জুগিয়েছে, যা আমরা 'একাত্তরের দিনগুলি'তে মাকে লেখা রুমীর চিঠিতে পড়েছি। রুমী তো যুদ্ধে শহীদ হলেন, কিন্তু বেঁচে ফেরা এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে যুদ্ধফেরত তরুণ যুবারা কী মানসিক উৎপীড়নে ভুগছিলেন, তাঁদের নিয়ে আমার কোনো আইডিয়াই ছিল না। ব্যাপারটা ম্যাক তার বইতে লিখেছেন এভাবে, '... ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ফেরত পরিশ্রান্ত তরুণ-তরুণ-তরুণীদের মনে যে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তার শুশ্রূষায় মারুহুয়ানা হয়ে ওঠে খুব সহজাত এক প্রতিষেধক, আরও ভালো করে বললে পুরো সমাজের কাছেই।'
'আজও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া বা ভিয়েতনাম যুদ্ধফেরত বয়স্ক সৈনিকেরা যেখানে মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং খুঁজে ফেরে এবং গ্রহণ করে, সেখানে আমাদের মুক্তিসেনাদের মধ্যে ঘটেছে অসংখ্য আত্মহত্যার ঘটনা। মূলত আত্মহত্যা ছাড়া যুদ্ধ-সময়ের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে থাকার কোনো উপায় তাঁদের জানা ছিল না। তাছাড়া সর্বগ্রাসী সেই যুদ্ধের ফলে আমাদের গেরিলাদের যে সীমাহীন মানসিক চাপ ও যন্ত্রণার শিকার হতে হয়েছিল, তার নিরাময়ে কোনো কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থাও কোনোদিন করা হয়নি। তাঁরা ভাবতেন গঞ্জিকাই সেসব থেকে পালিয়ে থাকার একমাত্র পথ।'
'ফলে রক আইকন ও সাবেক মুক্তিবাহিনী গেরিলা কমান্ডার আজম খান যখন ১৯৭৩-৭৪-এ তাঁর মহাকাব্যিক "ফ্রাস্ট্রেশন" গানটিতে গেয়ে উঠলেন "জ্বালা জ্বালা জ্বালা শুধু মনে রে, জ্বালা জ্বালা জ্বালা শুধু প্রাণে রে", আমরা তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে আগুনটা আসলে কোথায় লেগেছে আর পুড়ছেই বা কী।'
'তখন স্বীকৃতি না দেওয়া হলেও আজম খান আসলে তাঁর সঙ্গীতের ভেতর দিয়ে অনন্য এক সামাজিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। একটু সহানুভূতি পাওয়ার আশায় ধুঁকতে থাকা তরুণ প্রজন্মের হয়ে একের পর এক সংকেত পাঠিয়ে যাচ্ছিলেন। অথচ তৎকালীন স্টাবলিশমেন্ট এবং আমাদের বাবা-মায়েদের গড়পড়তা ধারণা ছিল যে এই "কুখ্যাত রকার"-এর এসব প্রচেষ্টা ফ্রাস্ট্রেশন থেকে একটা ফ্যাশন বানিয়ে চালু করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর আজম খানের সর্বজনবিদিত গঞ্জিকা আসক্তি যে তাদের এই ধারণাকে ভুল প্রমাণে খুব একটা কাজে আসেনি, তা বলাই বাহুল্য।'
রক মিউজিক মানে যার কাছে ছিল 'ঝাঁকি দিতে হইব', সেই স্ট্যাবলিশমেন্ট যে একসময় আজম খানের ঝাঁকি দেওয়া রকার স্বভাবকে অছ্যুতের মতো দূরে ঠেলে মোলায়েম এক 'পপসম্রাট' উপাধি তাঁর গায়ে জুড়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে, তা কি তিনি নিজেও জানতেন?
১৯৭২-৭৩ সালের মধ্যে 'হে আল্লাহ হে আল্লাহ', 'চার কলেমা সাক্ষী দিবে হযরতের উম্মত', 'হাইকোর্টের মাজারে', 'ধুয়া/জিগির', 'এই যে দুনিয়ায় মানুষ ছাড়া কিছু নাই'-এর মতো গান গেয়ে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা আর কাল্ট ফলোয়িং নিয়ে ১৯৭৪ সালে বিটিভিতে আবার গান গাইতে আসেন।
আজম খান 'ওরে সালেকা, ওরে মালেকা', 'আসি আসি বলে তুমি' গাওয়ার পর লাইভ টিভিতে মঞ্চ কাঁপিয়ে ঘোষণা দিলেন, 'যারা ইতিমধ্যে মৃত বা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, এই নতুন গানটি তাদের জন্য।'
তারপর শুরু করলেন দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশের অজস্র মানুষের প্রাণের আকুতিমাখা সেই বিখ্যাত 'বাংলাদেশ' গানটি।
কবীর সুমনের সাক্ষাৎকারে আমরা আজম খানকে বলতে শুনেছি যে কমলাপুর রেলস্টেশনে, নটর ডেমের আশেপাশে গ্রাম থেকে দু'টো খাবারের খোঁজে ঢাকায় ছুটে আসা মানুষের কালো কালো অসংখ্য মাথায় ভরে গিয়েছিল। বাবরিদোলানো আজম খান যখন সেই পথ দিয়ে যেতেন, আর বাচ্চারা মামা মামা বলে ছুটে আসত, তিনি পকেটে যা থাকত সবকিছু ওদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। না খেতে পেরে মানুষ মারা যাচ্ছে, দাফন করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না, ক্ষুধার জ্বালায় মা সন্তানকে রাস্তায় রেখে পালাচ্ছে; এসব দেখে তার 'কইলজ্যা ফাইট্টা গান বাইর হইয়া আসছে, হায়রে হায় বাংলাদেশ!'
আজম খান সব সময় বলতেন, 'লড়াইটা চালাইয়া যাইতেই হইব।' পরের দিকে আরও ছোট, হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বলতেন, 'ফাইট!'
আজম খানের এই 'ফাইট' কখনও থামেনি। তাঁর সাথে বাজানোর লোকের অভাব না হলেও ড্যামকেয়ার স্বভাবের রকার আজম খান একসময় দেশের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে ধীরে ধীরে অপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন। স্বভাবতই তাঁর কনসার্টের উপর নেমে আসে খড়্গহস্ত।
'সে সময় আজম খানের কনসার্ট অনেক কমে যায়। মাঝেমধ্যে জেলা শহরগুলোতে দু-একটি হতো, তা-ও গোয়েন্দা বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নজরদারিতে। অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি সহজে পেতে আয়োজকেরা জেলা প্রশাসনের প্রধানদের আমন্ত্রণ করতেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে! নোয়াখালীতে এ রকম এক কনসার্ট চলাকালে জেলা প্রশাসক কনসার্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেন। মঞ্চের পর্দা নামিয়ে দিতে বলেন। এসব থামাতে আজম খান একেবারে টারজান স্টাইলে লাফিয়ে পর্দা ধরে ঝুলে পড়েন। তারপর কাকুতিমিনতি করে বলতে থাকেন, না, দয়া করে এমন করবেন না। ফলে মঞ্চ থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।'
একইভাবে জেনারেল এরশাদের আমলে যখন তাঁকে 'সঙ্গীত একাডেমি'র চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়, তিনি তা পায়ে ঠেলেছেন। তাঁর প্রতি মানুষের আস্থার প্রতিদানে নিজের আত্মা বিকিয়ে দেননি।
বাংলার অগণিত রকার সেই স্মৃতি মনে রেখেছে। তাই তো তাঁর মৃত্যুর পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দেড় ঘণ্টা ধরে 'আজম খান ভিআইপি' স্লোগানে স্লোগানে তারা আজম খানের কবরটির পাকাপাকি বন্দোবস্ত করে ছেড়েছেন!
আজীবন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে, নিষ্পেষিত মানুষের পক্ষে লড়াই করা অগণিত ট্র্যাজেডিতে ভরা আজম খানের জীবনের হাতে গোনা কয়েকটি কথাই লিখতে পেরেছেন বলে লেখাটি মাকসুদ ইতি টেনেছেন এভাবে, 'আজম খান আমাদের যা শিখিয়ে গেছেন, তা যেভাবেই হোক, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে হবে। লড়াই চলবে, লড়াই চালিয়ে যেতে হবেই। এই তাঁর অমর উত্তরাধিকার।'
বইটা পড়তে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে ফেলি। কারণ, পাতায় পাতায় লেখা টালমাটাল ঘটনার বিস্ময়ে প্রায়ই আমার পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। শেষ বিকেলে বইটা যখন শেষ হয়, আমি কিছুক্ষণ তব্দা খেয়ে বসে থাকি। আমার চোখ ভিজে ওঠে, গলা ধরে আসে। আমার মনে হতে থাকে বাংলার গেরিলা রকার আজম খান যে রক রিলের ব্যাটন নিয়া দৌড়েছেন, সেটা ম্যাক আমার হাতে তুলে দিচ্ছেন। আমার মন চায় ম্যাকের হাত ধরে কিছুক্ষণ বসে থাকি।
আচ্ছা, আজম খানকে আমি কীভাবে মনে রাখছি? ইউটিউবে আজম খানের যৎসামান্য যে কয়টা গান পাওয়া যায়, তার ভেতর 'জীবনে কিছু পাব না রে'-এর কমেন্ট সেকশন দেখলেই বোঝা যায় তিনি পপ বা পপুলার কিছু নন (যদিও অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি!) তিনি আজীবন রকার, রকসম্রাট।
অপসংস্কৃতি আর প্রতিসংস্কৃতির অপদার্থ তকমা ছুড়ে ফেলা এন্টি-স্টাব্লিশমেন্ট, আজীবন গোপনীয়তার শপথ নেওয়া এক গেরিলা কমান্ডার, কনসার্টে উন্মাতাল নৃত্যরত জেসাস ক্রাইস্ট, কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপনের 'তুমিই তো জাগাবে' ভাইব, এফডিসির সিনেমার গডফাদার, হাসিখুশি দিলখোলা হ্যাংলাপাতলা এক অ্যাথলেট, পাপড়িকে না বোঝাতে পেরে সারা রাত জেগে থাকা এক বিষণ্ন প্রেমিক, বাংলাদেশ নামের এক ছোট্ট দেশে পৃথিবীর এক কোনায় জন্ম নেওয়া নিজের সময়কে ধরতে পারা এক অনন্য আর্টিস্ট। যাকে কোনো সংজ্ঞায় ফেলা যায় না। যার তুলনা তিনি নিজেই। গুরু একজনই, তিনি আজম খান।
০৫।০৩।২০২৪
রামপুরা, ঢাকা।