নিজের বোলিংয়ের ভিডিও দেখেই পথ খুঁজেছেন বিপ্লব
দীর্ঘদিনের বাধ্যতামূলক ছুটি, লকডাউনে বাড়িতে বন্দি হয়েই থাকতে হয়েছে। নিজের তাগিদে ফিটনেস নিয়েই যা কাজ করার করেছেন ক্রিকেটাররা। পাড়ার মাঠে গিয়ে রানিং কিংবা একটু ব্যাটিং-বোলিং করবেন, সেই সুযোগও ছিল না। এমন সময়ে নিজেকে চিনতে নিজের বোলিংয়ের ভিডিওই নিয়মিত দেখেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তরুণ এই লেগ স্পিনার নিজের বোলিংয়ের ভিডিও দেখে তার দুর্বল জায়গা বের করার চেষ্টা করেছেন। বিপ্লব বোঝার চেষ্টা করেছেন, ঠিক কোন জায়গায় তার উন্নতি দরকার। কয়েকদিন বিরতির পর বুধবার একক অনুশীলনে ফিরে এমনই জানিয়েছেন তিনি।
মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে ২০ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার বলেন, 'লকডাউনে বোলিং নিয়ে ওভাবে কাজ করা হয়নি। নিজের বোলিংয়ের ভিডিওগুলো দেখতাম কোন জায়গায় ঘাটতি আছে, কোন জায়গায় উন্নতি করলে ক্রিকেট খেলতে গেলে ভালো হবে। আমরা যখন অনুশীলন শুরু করি, আমি লেগ স্পিন দিয়ে শুরু করি। এরপর আস্তে আস্তে গুগলি, ফ্লিপার; এগুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করেছি। আশা করছি সামনে ভালো কিছুই হবে।'
করোনাকালে অন্য ক্রিকেটারদের মতো বিপ্লবও লকডাউনে শুধু ফিটনেস নিয়েই কাজ করেছেন। নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করে গেছেন তরুণ এই ক্রিকেটার, 'লকডাউনে তো আসলে আমাদের করার মতো তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু আমাদের নিজেদের যেগুলো ছিল যেমন ট্রেডমিলে রানিং করা, জিম সেশনে কাজ করা, এসব করা হয়েছে। নিজেকে ফিট রাখতে যা করা যায়, সেগুলোই করার চেষ্টা করেছি।'
ব্যাটসম্যানদের বোলিং করতে পেরে নিজের অবস্থান বুঝতে পারছেন বিপ্লব। যা তাকে স্বস্তি দিচ্ছে, 'ব্যাটসম্যান ছাড়া বোলিং করলে নিজের ব্যাপারে জানা যায় না। ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করলে বোঝা যায় নিজের শক্তির জায়গাটা, কোথায় বোলিং করতে হবে, কোন জায়গায় ঘাটতি আছে। ব্যাটসম্যানকে বোলিং করতে পেরে ভালো লাগছে। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে সবারই কষ্ট হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন অনুশীলনের পর এখন আমরা সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।'
গত বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় বিপ্লবের। এরপর খেলেছেন ৭টি টি-টোয়েন্টি। তবে সবার মতো তারও স্বপ্ন টেস্ট ক্রিকেট খেলা। বিপ্লব বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই একটা লক্ষ্য থাকে লাল বলের ক্রিকেট খেলা। আমারও সেটা আছে, যদি কখনও সুযোগ হয়, নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব।'