২২ গজে ফিরেই আক্রমণাত্মক সাকিব
কোন বোলারের বল মোকাবিলা করছেন; এই পরোয়া কখনই করেননি তিনি। নিজের চেনা ছন্দেই ব্যাটিং করে যান সাকিব আল হাসান। এমনকি দলের দুঃসময়েও নিজের স্বভাবজাত ব্যাটিং করতে দেখা গেছে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারকে। এ নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। যদিও এসব কানে তোলার পাত্র নন সাকিব। এমন মানসিকতার একজন ব্যাটসম্যান নেটে কেমন হতে পারেন?
আক্রমণাত্মক- উত্তরটা অবধারিতভাবেই এমন হওয়ার কথা। আর এমনই হয়ে থাকে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফেরা সাকিব শুরুতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন, দিয়েছেন ফিটনেস টেস্ট। রোববারই প্রথম ব্যাটিং-বোলিং করতে দেখা গেল বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে। আর মিরপুর স্টেডিয়ামের নেটে ব্যাট হাতে সেই আক্রমণাত্মক সাকিবেরই দেখা মিলেছে।
সাকিবের আসার খবরে সংবাদকর্মীদের ভিড় জমে যায় মিরপুর স্টেডিয়ামে। ক্যামেরা তাক করে রাখা হয় কেবল তার দিকেই। কিন্তু এদিন ছিল ব্যতিক্রম। খুব বেশি সংবাদকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। সাকিব তার প্রিয় কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে নিয়ে অনুশীলন করে গেছেন।
জেমকন খুলনার হয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ফিরতে যাচ্ছেন সাকিব। পাঁচ দলের অংশগ্রহণে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে অনুশীলন শুরু করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। নিজেকে চেনা ছন্দে ফিরিয়ে আনার মিশনে প্রথমদিন দীর্ঘ সময় নেটে কাটিয়েছেন তিনি।
সাকিব পাশের নেটেই পেয়েছিলেন জাতীয় দলে দীর্ঘ সময়ের সঙ্গী মুশফিকুর রহিমকে। সাকিবকে বোলিং করেছেন জাতীয় দলের দুই অভিজ্ঞ পেসার আল আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলাম। তরুণ দুই পেসার মেহেদী হাসান রানা, হাসান মাহমুদদের বোলিংও চেখে দেখেছেন সাকিব।
নেটে এই চার পেসারের বিপক্ষে ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক সাকিবকেই দেখা গেছে। দারুণ সব শট খেলছিলেন তিনি। প্রায় ৪০ মিনিট ব্যাটিং করেন সাকিব। এরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নেন তিনি। এ সময় কোচ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন সাকিব। এরপর আবার ব্যাটিং শুরু করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বোলিং করে অনুশীলন শেষ করেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।