প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে সমুদ্রযাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা
আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সেন্ট লুসিয়া থেকে ডোমিনিকা যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকজন সদস্য। ডিজিটাল মিডিয়া অলরাউন্ডারে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি আগামীকাল শুরু হবে। খেলোয়াড়রা সময় মতো সুস্থ হয়ে উঠবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেন্ট লুসিয়া থেকে মার্টিনিক দ্বীপপুঞ্জে তাদের ১.৫ ঘণ্টার ফেরি যাত্রার সময় পেসার শরিফুল ইসলাম, লজিস্টিক ম্যানেজার নাফিস ইকবাল এবং কিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান 'মোশন সিকনেসে' আক্রান্ত হতে থাকেন। খবর প্রথম আলোর।
কিন্তু ফরাসি পাসপোর্ট না থাকায় তারা মার্টিনিক দ্বীপপুঞ্জে থামতে পারেনি। কিন্তু মার্টিনিক দ্বীপপুঞ্জে বিরতির সময়, নাফিস এবং নুরুল বেশ সুস্থ হয়ে উঠলেও মার্টিনিক দ্বীপপুঞ্জ থেকে ডোমিনিকা যাওয়ার সময় শরিফুল আবারও বমি করা শুরু করেন।
সমুদ্রপথে পাঁচ ঘণ্টা চলে এ মর্মান্তিক যাত্রা। খেলোয়াড়দের সমুদ্রপথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা না থাকায় আলাদা পরিবহন ব্যবস্থা না করার জন্য অনেকে বিসিবির সমালোচনা করছেন।
বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, এ ধরনের যাতায়াত ব্যবস্থায় রাজি হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না তাদের।
"আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। তবে প্রথম জিনিসটি হল, সবসময় আয়োজক দেশ এই ব্যবস্থা করে। তারপরও, আমরা এ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। কিন্তু সমস্যা ছিল, ওয়েস্ট উইন্ডিজ কর্মকর্তা দুটি দলকে একসাথে পাঠাতে চেয়েছিলেন"।
দুই দলের জন্য উইন্ডিজ ক্রিকেট চার্টার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে পারেনি। কোভিড বিধি-নিষেধের কারণে, শুধুমাত্র কম সিটের ফ্লাইটগুলো চালু ছিল।
বিসিবি সিইও বলেন, উইন্ডিজ ক্রিকেট তাদের আশ্বস্ত করে বলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও বাংলাদেশের সাথে ভ্রমণ করবে।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও বেশ নারাজ ছিলেন। লজিস্টিক ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে তিনি বলছিলেন, "এখন এ দায়িত্ব কে নেবে? মাত্র কয়েকজন দাঁড়াতে পারছে"।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে খেলোয়াড়রা ধকল কাটিয়ে সুস্থ হয়ে যাবেন।
"আমি ফিজিও বায়জেদুলের [ইসলাম] সাথে কথা বলেছি, তিনি আশ্বস্ত করেছেন খেলোয়াড়রা নিরাপদে পৌঁছেছে। একদিনের বিশ্রামের পর সুস্থ হয়ে উঠবে তারা",বলেন তিনি।