সাগরপাড়ে ঝড় তুলে আশরাফুলকে ছাড়িয়ে লিটনের রেকর্ড
'যা করবো, সেটাই হবে।' ব্যাটিং করতে নেমে কোনো ব্যাটসম্যান এমন আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলে কী হতে পারে সেদিন? শহীদ আফ্রিদি, ডি ভিলিয়ার্স কিংবা ক্রিস গেইলের কোনো ইনিংসের কথা মনে পড়তে আপনার।
আপাতত পুরনো ইনিংসগুলোতে নজর না দিলেও হচ্ছে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লিটন কুমার দাসের ব্যাটিংয়ে নজর দিলেই উত্তর মিলবে। এদনি সাগরপাড়ে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাস নতুন করে লিখলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৭ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটটাকে পরিণত করলেন খোলা তরবারিতে। এমনিতেই তার ব্যাটিং অনিন্দ্য সুন্দর, এর সঙ্গে চোখ ধাঁধানো সব শট; দুইয়ে মিলে অদ্ভুত ঘোর লাগা আবহ চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামটিতে। আর এর মাঝেই লিটন নাম তুলে নিলেন দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির তালিকায়, সেটাও সবার উপরে।
আইরিশ বোলারদের গলির বোলারে পরিণত করে চার-ছক্কার পসরা সাজানো লিটন মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। যা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। দীর্ঘদিন ধরে এই রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের দখলে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন সাবেক এই অধিনায়ক। লিটনের হাফ সেঞ্চুরিটি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যৌথভাবে সপ্তম দ্রুততম।
দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি নিজের দখলে নিয়ে নেওয়া লিটনের নাম আরও একবার আছে এই তালিকায়। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে এতোদিন দ্বিতীয় দ্রুততম ছিলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু তার এদিনের ব্যাটিংয়ে পেছনের সব ঝড় হয়ে উঠলো মামুলি। লিটন গড়িয়ে, উড়িয়ে বল সীমানা ছাড়া করে রেকর্ড বইয়ে নামটি খোদাই করে নিলেন।
খুনে ব্যাটিং করার দিনে লিটন থামেন ১২তম ওভারের শেষ বলে, এর আগে খেলেন ঝলমলে এক ইনিংস। ৪১ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৩ রান করে আউট হন লিটন। ৭০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা বাংলাদেশ ওপেনারের এটাই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৩ রানের ইনিংস।