ব্যাটিং ব্যর্থতার পর শামীমের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াই
উদ্বোধনী জুটি নিয়ে রাজ্যের হতাশা, টপ অর্ডার নিয়ে হাহাকার। অনেক দিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চেহারা ছিল এমন। ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে অবস্থায় পরিবর্তন আসে, লিটন কুমার দাস ও রনি তালুকদারের উদ্বোধনী জুটিতে আলোর দিশা মেলে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সব কিছুতে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে দুর্বার। কিন্তু দাপুটে পারফরম্যান্সে প্রথম দুই ম্যাচ দিয়ে সিরিজ জিতে নেওয়া বাংলাদেশরই তৃতীয় ম্যাচে করুণ অবস্থা।
অগোছালো শুরুর পর ব্যর্থ টপ অর্ডার, চলতে থাকলো আসা যাওয়ার মিছিল। এরপর পুরনো দিনের মতো করে একজন লড়াই করলেন, তাকে সঙ্গ দিলেন আরেকজন। সব মিলিয়ে অনেক সংগ্রামের পরও মিললো সামান্য পুঁজি। দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশ হঠাৎ-ই দিক হারিয়ে চরম হতাশার ব্যাটিং করলো। আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমে তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানেই অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে নিজেদের ব্যাটিং-দর্শন অনুযায়ী আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলেছে তারা।
বাংলাদেশের চারজন ব্যাটসম্যান কেবল দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী এর মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন, বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান তার ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। দুই অঙ্কের রান করা বাকি তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৪ রানের।
শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে দুর্বার শুরু এনে দেওয়া লিটন ও রনি আজ পারেননি দলকে পথ দেখাতে। তুলে মারতে গিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন লিটন। পরের ওভারের শেষ বলে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে ফিরে ছন্দময় সব ইনিংস খেলে যাওয়া রনিও পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন।
দ্বিতীয় ওভার থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ ষষ্ঠ ওভারে অধিনায়ক সাকিবকে হারায়। পরের ওভারে থামেন তাওহিদ হৃদয়। ৪১ রানের মধ্যেই নেই ৫ উইকেট, এখান থেকে দলের হাল ধরেন শামীম। তার সঙ্গে অনেকটা সময় লড়াই করেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। অষ্টম উইকেটে ইনিংসসেরা ৩৩ রানের জুটি গড়েন শামীম-নাসুম। এই জুটিতেই মূলত ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ।
নাসুমকে এক পাশে রেখে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাওয়া শামীম ৪২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংসসেরা ৫১ রান করেন। এ ছাড়া রনি ১৪, হৃদয় ১২ ও নাসুম ১৩ রান করেন। বাকিরা যোগ দিয়েছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। আয়ারল্যান্ডের সাতজন বোলিং করে সবাই উইকেটের দেখা পান। সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মার্ক এডেয়ার। ২টি উইকেট নেন ম্যাথু হামফ্রেস। একটি করে উইকেট পান ফিওন হ্যান্ড, হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্ফার, বেন হোয়াইট ও গ্যারেথ ডেলানি।