দুই ভাগে ইংল্যান্ড যাচ্ছে বাংলাদেশ
ঘরের মাঠে গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টি ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোয় ব্যাটে-বলে শাসন করা বাংলাদেশ এবার বিদেশ সফরে যাচ্ছে আইরিশদের বিপক্ষেই খেলতে। তাদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তামিম ইকবালের দল, খেলা হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে।
সিরিজটি খেলতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ইংল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ দল। রোবরাত রাত ১টা ৪০ মিনিটে ও সোমবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের ফ্লাইটে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। প্রথম ফ্লাইটে রওনা দেবেন বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্টের বেশিরভাগ সদস্য ও কয়েকজন ক্রিকেটার। এই ফ্লাইটে থাকবেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলী রাব্বিরা।
পরের দিনের ফ্লাইটে বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার ইংল্যান্ডে যাবেন। দুই ফ্লাইট মিলিয়ে ১২ জন ক্রিকেটার ইংল্যান্ডে যাবেন। আইরিশদের বিপক্ষে দলে ডাক পাওয়া বাকি তিন ক্রিকেটার যাবেন আলাদাভাবে। ৫ মে'র আগেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একটি ম্যাচে সুযোগ পাওয়া লিটন কুমার দাস দেশে ফিরে এসেছেন জরুরি পারিবারিক কারণে। দলের কোনো অংশের সঙ্গে যাচ্ছেন না উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। ২ মে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এদিনই দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে ইংল্যান্ডে যাবেন মুস্তাফিজুর রহমান।
উইকেটের কথা মাথায় রেখে আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতির জন্য সিলেটে তিনদিনের ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ। চেমসফোর্ডে বাউন্সি উইকেট খেলা হবে, সিলেটেও আছে বাউন্সের ছোঁয়া। এ কারণে সংক্ষিপ্ত ক্যাম্পটি সিলেটে করা হয়। দেশের বাইরে থাকায় সাকিব, লিটন ও মুস্তাফিজ এই ক্যাম্পে অংশ নিতে পারেননি।
ওয়ানডে সিরিজের আগে ৫ মে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯, ১২ ও ১৪ মে তিনটি ওয়ানডে খেলবেন তামিম-সাকিবরা। ম্যাচ তিনটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ। তবে এই সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার তাড়া নেই বাংলাদেশের, অনেক আগে প্রিয় ফরম্যাটের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে তারা।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।