জিততে আফগানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে হবে সাকিবদের
বাস্তবতার সঙ্গে রেকর্ডও বলে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তান এগিয়ে। দুই দলের আগের ৯ মোকাবেলায় আফগানরা জিতেছে ছয়বার, বাংলাদেশ তিনবার। সংখ্যাটা চারে নিতে আফগানদের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশকে।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করা আফগানিস্তান মোহাম্মদ নবীর হাফ সেঞ্চুরি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ঝড়ো ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছে। এই রান পাড়ি দিতে পারলে এটাই হবে টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সফল রান তাড়া। আগের সফল রান তাড়া ১৩৯, চট্টেগ্রামে ২০১৯ সালে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা আফগানরা নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদের বিপক্ষে সাবধানী শুরু করে। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে খোলস ছাড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পরের ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মারেন হজরতউল্লাহ জাজাই। তখন মনে হচ্ছিল ভয়ঙ্কর এই দুই ব্যাটসম্যান ঝড় তুলতে যাচ্ছেন না। যদিও নাসুম বাধায় তা হয়নি, তৃতীয় ওভারেই জাজাইকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ১০ বলে ৮ রান করেন আফগান এই ওপেনার।
পরের ওভারে আফগানদের ইনিংসে সবচেয়ে বড় আঘাতটি হানেন তাসকিন, তার শিকার গুরবাজ। তাসকিনের লেংথ বলে কবজির মোচড়ে ছক্কা মারতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন ১১ বলে ১৬ রান করা গুরবাজ। এরপর শরিফুল ইসলামের বলে ইব্রাহিম জাদরানের ব্যর্থ হওয়ার সেই পুরনো গল্প আবারও ফিরে আসে।
টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে আগে চারবার শরিফুলের বিপক্ষে আউট হওয়া ইব্রাহিম আজও বাঁহাতি এই পেসারের শিকারে পরিণত হন একইভাবে। গত বছর একবার ওয়ানডেতে শরিফুলের শিকার হন তিনি। এবার টেস্টের দুই ইনিংস ও একটি ওয়ানডেতে শরিফুলের বলে আউট হওয়া ইব্রাহিম আজও একইভাবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন।
৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া দলটি কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি পায়, চতুর্থ উইকেটে ২০ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবী ও করিম জানাত। আফগানরা গুছিয়ে নেওয়ার পরপরই সাকিব আল হাসানের আঘাত, তার শিকার করিম জানাত। এরপর আবারও আফগানদের প্রতিরোধ, নাজিবুল্লাহ জাদরানের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন এক পাশ আগলে খেলা নবী।
২৩ বলে ৩টি চারে ২৩ রান করা নাজিবুল্লাহকে থামিয়ে এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। তবু দমেনি আফগানরা, বরং রান তোলার গতি আরও বাড়ে তাদের। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া নবীর সঙ্গে যোগ দিয়ে ঝড় তোলেন অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ৪টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন তিনি। নবী-নাজিবুল্লাহর জুটি থেকে আসে ৩১ বলে ৫৫ রান।
আফগানদের ইনিংসের সবচেয়ে বড় নাম নবী তখনও অবিচল। ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ডানহাতি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ব্যাট চালিয়ে ৪০ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৪ রান করেন। সাকিব সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। নাসুম, তাসকিন, শরিফুল, মুস্তাফিজ ও মিরাজ একটি করে উইকেট পান।