রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন হেরমোসো
চুমু বিতর্কে স্পেন ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা জেনি হেরমোসো। মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেনের জয়ের পর মেডেল গ্রহণের সময় হেরমোসোকে চুমু খেতে দেখা যায় রুবিয়ালেসকে।
রুবিয়ালেস এই চুমুর ঘটনাকে সম্মতি নিয়েই করা হয়েছে দাবি করলেও হেরমোসো সেটি অস্বীকার করেন। এরপর স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিকে অপসারণের দাবি ওঠে চারদিকে। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তাকে ৯০ দিনের জন্য বহিষ্কারও করেছে।
এবার রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন হেরমোসো। ইতোমধ্যে অভিযোগও দাখিল করেছেন তিনি। স্পেনের জাতীয় প্রসিকিউটর অফিস থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।
খুব দ্রুতই এই বিষয়ে কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছে প্রসিকিউটর অফিস। যদিও এই বিষয়ে হেরমোসো কিংবা রুবিয়ালেস, কারোর মন্তব্যই পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেনের জয়ের পর ফরোয়ার্ড হেরমোসোর ঠোঁটে চুমু দেন রুবিয়ালেস। এ ঘটনায় তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। তবে রুবিয়ালেস জানিয়ে দেন তিনি পদ ছাড়ছেন না।
এদিকে চুমু কাণ্ডের পর ৮১ জন ফুটবলার জানিয়েছেন সভাপতি অপসারিত না হলে তারা আর নারী দলের হয়ে খেলবেন না।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে রুবিয়ালেস বলেন, 'আমি তাকে (ফাইনালে) পেনাল্টি মিস করার করা ভুলে যেতে বলেছিলাম। এবং আমি তাকে চুমু দেওয়ার কথা বলি। সে উত্তরে 'হ্যাঁ' জানায়। এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত চুম্বন ছিল। পারস্পরিক, উচ্ছ্বাসপূর্ণ এবং সম্মতিমূলক। এটাই মূল বিষয়। আমাকে অপসারণের জন্য একটি সম্মতিমূলক চুমু যথেষ্ট?'
এরপর সামাজিক মাধ্যমে একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছেন জেনি হেরমোসো। তিনি জানান, 'আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, লুইস রুবিয়ালেস তার ভাষণে যে কথোপকথনটির কথা উল্লেখ করেছেন তা কখনই ঘটেনি এবং সর্বোপরি, এ চুম্বন সম্মতিতে হয়নি।' রুবিয়ালেসের দাবিকে স্পষ্ট মিথ্যা বলেও দাবি করেন তিনি।