পাঁচ সেশনেই কেপটাউন টেস্ট জিতল ভারত
পাঁচ সেশনেই শেষ হয়ে গেল কেপটাউন টেস্ট। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাত উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা জেতায় সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
প্রথমদিনেই ২৩ উইকেট পড়ার পর এই ম্যাচ যে বেশিদূর গড়াবে না তা বোঝা যাচ্ছিল। কেপটাউনের পেস স্বর্গে ম্যাচ শেষ হয়েছে পাঁচ সেশনের আগেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৭৯ রানের লক্ষ্য তিন উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ভারত। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৬ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। এক এইডেন মার্করাম একাই করেছেন ১০৩ রান। ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নিলেও বাকিদের ব্যর্থতায় দলের লিড খুব বড় করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ছয় উইকেট শিকার করেছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ, দ্বিতীয় ইনিংসে সমান সংখ্যক উইকেট নিয়েছেন আরেক ভারতীয় পেসার জস্প্রিত বুমরাহ।
এর আগে প্রথমদিনেই ২৩ উইকেট পড়েছে কেপটাউন টেস্টে। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৩ উইকেট আর ভারতের ১০টি। প্রথমদিনেই দুবার করে আউট হন তিন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডিন এলগার, টনি ডি জর্জি ও ট্রিস্টান স্টাবস।
তবে ২৩ উইকেটের পতনের পরেও একদিনে সর্বোচ্চ উইকেট পড়ার রেকর্ড হয়নি। ১৮৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়া- ইংল্যান্ড টেস্টে একদিনে ২৭ উইকেটের পতন ঘটেছিল। আর প্রথম দিনে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেটের পতন দেখেছে টেস্ট ক্রিকেট। এটিও ঘটেছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচেই, ১৯০২ সালে মেলবোর্নে। এরপরই দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত কেপটাউন টেস্টের অবস্থান। উইকেট বৃষ্টির একদিন শেষেও কিছুটা এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত।
প্রথমদিনে দুই ইনিংস মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করে ৪০.২ ওভার। তাতেই স্বাগতিকরা হারায় ১৩ উইকেট। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। যার মধ্যে তারা শেষ ছয় উইকেট হারিয়েছে কোনো রান না করেই! এটিও একটি রেকর্ড।
বিরাট কোহলি করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার তিন পেসার কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও নান্দ্রে বার্গার নিয়েছেন সমান তিনটি করে উইকেট।