ফলাফল নয়, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করাই ল'র দলের মূলমন্ত্র
২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল বাংলাদেশের যুবারা। সেটিই প্রথমবারের মতো এবং এখন পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের একমাত্র কোনো শিরোপা। ২০২৪ সালের যুব বিশ্বকাপও হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাতে। বাংলাদেশ উঠে গেছে সুপার সিক্সে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ স্টুয়ার্ট ল জানালেন, খেলার মাঠে তার শিষ্যদের মানসিকতা কেমন থাকে। সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের কাছেই দলের খুটিনাটি সম্পর্কে জানা গেছে এক সাক্ষাৎকারে।
স্টুয়ার্ট ল জানিয়েছেন, একটু একটু করে প্রতিদিন উন্নতি করার ধারা বজায় রাখতে চায় তার দল। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করার মাধ্যমে বর্তমান সময়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথাই উঠে এসেছে ল'র মুখ থেক, 'আপনি যদি ২০২০ সালের দিকে তাকান, তাহলে সেটি চার বছর আগে। কিন্তু আপনি পেছনে তাকালে আর এগিয়ে যেতে পারবেন না।'
'আমরা এমন সব মানুষকে নিয়ে কাজ করছি যারা প্রতিদিন আরো ভালো হয়ে উঠতে চায়। আর যদি তারা প্রতিদিন একটু একটু করে ভালো হতে থাকে, তাহলে আমরা দিনশেষে একটা ভালো ক্রিকেট দল হয়ে উঠতে পারব।'
ল'র শিষ্যরা যে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিখছেন, সেটিও জানালেন তিনি, 'গত ছয় মাসে আমরা একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এগোচ্ছি। আমরা ফলাফলের দিকে তাকাচ্ছি না। যদি আমাদের প্রক্রিয়া ঠিক থাকে তাহলে ফলাফল এমনিই আসবে। আর আমরাও প্রতিদিন আরেকটু ভালো হয়ে উঠব।'
যুব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে বড় হারের পর আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে সুপার সিক্সে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারতের পেছনে থেকে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দলকে।
নিজেদের গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেছেন ল, 'আমাদের ভালো-মন্দ মিলিয়েই দিন গেছে। ভারতের কাছে হারাটা কোনো অসম্মানের ব্যাপার না। আমরা আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ঠিকঠাক কাজ করেছি। হ্যাঁ, আরো ভালো করতে পারতাম কিন্তু সুপার সিক্সে ওঠাটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।'
গ্রুপ পর্বে কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স চোখে লাগার মতো হলেও ল'র কাছে দলীয় প্রচেষ্টাই সবার আগে, 'আমাদের বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত ভালো পারফরম্যান্স ছিল। কিছু ম্যাচে ফাস্ট বোলাররা দারুণ বল করেছে। মারুফ যেমন পাঁচ উইকেট নিয়েছে। আরিফুল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করল। তবে বাকি খেলোয়াড়দের থেকেই কোনো না কোনো অবদান আমরা দেখেছি।'
বাংলাদেশ যুব দলকে কোচিং করানো দারুণ উপভোগ করছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। তবে সবকিছু ছাপিয়ে একটি বিষয়েই তার যত আগ্রহ, 'এই পর্যায়ে এসে তরুণদের সঙ্গে কাজ করা সবচেয়ে বেশি আনন্দের। তারা যখন প্রশ্ন করে এবং উত্তর পেয়ে সেটি অনুশীলনে প্রয়োগ করে, এরপর জায়গামতো সাফল্যও পায়, এটিই আমাকে সবচেয়ে বেশি খুশি করে।'