হৃদয়-জাকিরে মিললো লড়াইয়ের পুঁজি
টপ অর্ডার ব্যর্থ হবে, মাঝে হাল ধরবেন কেউ। অন্য আরেকজন সঙ্গ দেবেন, কিংবা আরও কিছু ছোট ইনিংস; সব মিলিয়ে মাঝারি পুঁজি। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে এমন দৃশ্য নিয়মিত হয়ে উঠেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পর অন্তত এটা বলাই যায়। আগের দুই ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থ টপ অর্ডার। কাণ্ডারী হয়ে দেখা দিলেন আগের দুই ম্যাচেও পথ দেখানো তাওহিদ হৃদয়, সঙ্গে থাকলেন জাকের আলী। এই দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় লড়াই করার পুঁজি পেল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি আগের ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তুলেছে। এই রানই অবশ্য বেশি মনে হতে পারে। কারণ পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৪২ রান তোলা বাংলাদেশ ১০ ওভারে স্কোরকার্ডে জমা করে ৬৩ রান। হৃদয় ও জাকিরের দাপুটে ব্যাটিংয়ের কল্যাণে শেষ ১০ ওভারে ১০২ রান করে বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে চরম বাজে সময় পার করতে থাকা লিটন কুমার দাস আজও ধুঁকেছেন। রান করতে পারেননি, উল্টো দৃষ্টিকটুভাবে বিলিয়ে আসেন নিজের উইকেট। জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির করা চতুর্থ ওভারে স্কুপ শট খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন লিটন। পরের বলে আবারও একই শট খেলার চেষ্টা করেন তিনি। তৃতীয়বারের মতো স্কুপ খেলার চেষ্টা করে বোল্ড হন ১৫ বলে ২টি চারে ১২ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার।
২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ, দ্বিতীয় জুটিও টেকেনি। সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ৪ বলে ৬ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আরও কিছুটা সময় লড়েন। তবে ধারাবাহিকভাবে শট খেলার চেষ্টা করেও পারছিলেন না তিনি, ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না তার। দলীয় ৬০ রানে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হন তানজিদ, ২২ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রান করেন তিনি।
এরপর জুটি গড়ে তোলেন হৃদয় ও জাকের। মুহূর্তেই উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া এই দুই ব্যাটসম্যান স্কোরকার্ডে চেহারা পাল্টে দিতে সময় নেননি। জিম্বাবুয়ের বোলারদের শাসন করে চতুর্থ উইকেটে ৫৮ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৯তম ওভারে গিয়ে আউট হন ৩৮ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৭ রান করা হৃদয়। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। অল্প রানের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হৃদয় যথাক্রমে ৩৩ ও ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এই ওভারে জাকেরকেও ফেরান বাংলাদেশকে ভোগানো জিম্বাবুয়ের ডানহাতি পেসার মুজারাবানি। ফেরার আগে ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন জাকের। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ বলে ২টি চারে ৯ ও রিশাদ হোসেন ৪ বলে একটি চারে ৬ রান করেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৩টি উইকেট নেন মুজারাবানি। এ ছাড়া ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা একটি করে উইকেট নেন।