তুরস্ককে কাঁদিয়ে ২০ বছর পর সেমি-ফাইনালে নেদারল্যান্ডস
স্বপ্ন দেখছিল তুরস্ক, ১৬ বছর পর ইউরোর সেমি-ফাইনাল খেলা থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে ছিল তারা। কিন্তু ছয় মিনিটের কমলা ঝড়ে সব এলোমেলো হয়ে গেল তুর্কিদের জন্য। পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে তুরস্ককে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে গেছে নেদারল্যান্ডস।
২০ বছর পর ইউরোর সেমি-ফাইনালে উঠল নেদারল্যান্ডস। সর্বশেষ ২০০৪ ইউরোতে এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছিল ১৯৮৮ ইউরোর চ্যাম্পিয়নরা। সব মিলিয়ে এটি হতে যাচ্ছে ডাচদের ষষ্ঠ ইউরো সেমি-ফাইনাল। যেখানে তাদের অপেক্ষায় ইংল্যান্ড।
বার্লিনে প্রথমার্ধে নেদারল্যান্ডসকে চমকে দেয় তুরস্ক। টুর্নামেন্ট জুড়েই দারুণ ফুটবল খেলা দলটি ৩৫ মিনিটে সেট পিস থেকে গোল করে এগিয়ে যায়। আর্দা গুলারের ক্রস থেকে হেডে ডাচ গোলরক্ষক ভারব্রুগেনকে পরাস্ত করেন সামেত আকায়দিন।
দ্বিতীয়ার্ধে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে নেদারল্যান্ডস। ধৈর্য্য ধরে আক্রমণ সাজাতে থাকে কমলা বাহিনী। তবে গোল পেতে ৭০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে রোনাল্ড কোম্যানের দলকে। মেম্পিস ডিপাইয়ের দারুণ এক ক্রস দুর্দান্ত হেডে সমতা ফেরান ডিফেন্ডার স্টিফেন ডি ভ্রাই। ম্যাচে এগিয়ে যেতে মাত্র ছয় মিনিট সময় নেয় ডাচরা।
ডেনজেল দুমফ্রিসের গড়ানো ক্রস ডি-বক্সে এলে সেটিতে পা ছোঁয়াতে যান কোডি গাকপো। কিন্তু ডাচ ফরোয়ার্ডের পায়ে বল যাওয়ার আগেই তুর্কি ডিফেন্ডার মার্ত মুলদুরের পায়ে লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে। আত্মঘাতী গোলে কপাল পোড়ে তুর্কিদের।
ম্যাচের শেষদিকে সমতা ফেরানোর দারুণ তিনটি সুযোগ পেয়েছে তুরস্ক। প্রতিবারই ডাচ ডিফেন্ডারের ব্লক কিংবা গোলরক্ষকের দারুণ সেইভে ম্যাচে এগিয়ে থেকেছে কমলা দল। আর সুযোগ কাজে না লাগাতে পারার আক্ষেপে পুড়ে কেঁদেই বিদায় নিতে হয়েছে ইউরোর চমক তুরস্ককে।