ভুটানের ক্লাবে খেলবেন বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার
বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের বিদেশি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। দেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিদেশি লিগে খেলা সাবিনা খাতুন মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া লিগে খেলেছেন। মালদ্বীপের লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মাতসুশিমা সুমাইয়ারও। গত বছর ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলে খেলেছেন সানজিদা আক্তার। এবার এক ক্লাব থেকেই ডাক পেলেন বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার।
ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসি বাংলাদেশের সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা চাকমাকে দলে ভিড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে যাচ্ছে ক্লাবটি। চার ফুটবলারকে ইতোমধ্যে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে 'ডি' গ্রুপে আগামী ২৫ আগস্ট ইরানের বাম খাতুনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে থিম্পু কলেজ এফসি। পরের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হংকংয়ের কিতচে স্পোর্টস ক্লাব। এই আসরটিতে বাংলাদেশের নারী লিগের চ্যাম্পিয়ন দলেরও খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু অপেশাদার লিগের দোহাই দিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়নি। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে। কারণ বাংলাদেশের চেয়ে দুর্বল ফুটবল কাঠামোর দেশ ভুটানের ক্লাব এই লিগে খেলছে।
ডাক পেলেও চার ফুটবলারকে শুরুতে খেলার অনুমতি দিতে চায়নি বাফুফে। পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে অনুমতি দেওয়া হয়। ১০ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন সাবিনা-মনিকারা। তবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে শর্ত, থাকতে হবে চোটমুক্ত। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কথা মাথায় রেখে বাফুফের এই বাড়তি সতর্কতা।
সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, এবার তাদের মিশন শিরোপা ধরে রাখার। তাই বিদেশি লিগে খেলে ইনজুরি নিয়ে কোনো ফুটবলার দেশে ফিরুক, সেটা চায় না বাফুফে। চার ফুটবলারকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, 'প্রথমে ভেবেছিলাম অনুমতি দেব না। কারণ, আমাদের সামনে সাফের প্রস্তুতি আছে। পরে ভাবলাম, ভুটানের ক্লাবটি এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে। শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা সাফে কাজে লাগবে সাবিনাদের।'