‘প্রথম ও প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া’
সরকার বদলের বড় প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। দুদিন আগে পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্ব সামলে আসা জালাল ইউনুস। আজ বিসিবির জরুরি বোর্ড সভায় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের গুরুদায়িত্ব পেয়ে অভিব্যক্তি জানিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। বেলা ৩টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলার আগে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন ফারুক। বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেছেন, দেশের ক্রিকেট ও দেশকে এগিয়ে নেওয়া তার প্রথম ও প্রধানতম দায়িত্ব।
বিসিবির নতুন সভাপতি বলেছেন, 'লক্ষ্য অনেক বড়। প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য দেশের সম্মান বৃদ্ধি। দেশের মুখ উজ্জ্বল করা। দলকে একটা জায়গায় (ভালো) দেখতে চাই। কীভাবে দেখব সেটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। সুতরাং অনেক জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে।'
আগের বোর্ডের কাজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'অনেক দিন ধরে কাজ হয়েছে, হয় নাই, এসব নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমাদের প্রথম ও প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে যদি আমরা মাথায় রাখি তাহলে আমাদের কাজটা সহজ হবে। আমরা অন্য দিকে যেন সরে না যাই। সুতরাং বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ক্রিকেট সব মিলিয়েই এটাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।'
পাপনের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তার নেতৃত্বাধীন বোর্ডের ১২ বছরের শাসনকাল। ২০১২ সালে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি, সে সময় সরকার তাকে মনোনীত করে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে নির্বাচিত হন পাপন। এর থেকে তিন মেয়াদে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনীত হিসেবে বিসিবি পরিচালক হয়ে পাপনের স্থলাভিষিক্ত হলেন ফারুক।
সাবেক এই ব্যাটসম্যান খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার কয়েক বছরের মধ্যেই বিসিবিতে যুক্ত হন। দুই মেয়াদে বিসিবির প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে নির্বাচক প্যানেলের প্রধান করা হয় ফারুককে, দায়িত্ব পালন করেন ২০০৭ সাল পর্যন্ত। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আবারও একই দায়িত্ব পান তিনি, স্থলাভিষিক্ত হন আকরাম খানের। এ দফায় তিনি দায়িত্ব সামলান ২০১৬ সাল পর্যন্ত।