ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্বপ্নে শেষ দিনে তাকিয়ে বাংলাদেশ
দিনের খেলার বাকি ৪৬ ওভার, দারুণ শুরুর পর অনেকটা পথই পাড়ি দেওয়া যেতো। মিলতে পারতো ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের সুবাস। কিন্তু প্রথমে আলোকস্বল্পতা ও পরে ঝুম বৃষ্টি; আশা না দেখে ৪৬ ওভার বাকি থাকতেই চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করার ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। অপেক্ষা বাড়ায় আফসোস হতেই পারে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে অল্প রানেই আটকায় বাংলাদেশ। দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিং স্বাগতিকদের ১৭২ রানে গুটিয়ে দেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১২ রানের লিড ও এই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান।
দেড় দিনেরও বেশি সময় বাকি, হাতে ১০ উইকেট। লক্ষ্য তাড়ায় দাপুটে শুরু করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে মেজাজে ৭ ওভারেই স্কোরকার্ডে সফরকারীরা জমা করে ৪২ রান। বিশেষ করে জাকির হাসান ছিলেন মারকুটে মেজাজে, ২৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ১৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত আছেন। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৪৩ রান, হাতে আছে ১০ উইকেট।
তবে ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি বলে শেষ দিনে খেলা হওয়া নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বৃষ্টির পরে এই মাঠে দ্রুততার সঙ্গে খেলা শুরু করা সম্ভব হয় না। চলতি টেস্টের প্রথম দিন খেলাই হয়নি, টস হয় দ্বিতীয় দিন। এ ছাড়া প্রথম টেস্ট শুরুর আগের রাতের বৃষ্টিতে প্রথম দিনের খেলা মাঠে গড়ায় বেশ পরে। সেদিন মাত্র ৪১ ওভারের খেলা হয়।
বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়ায় ৬ ওভারের পর চা বিরতি হয়। এর এক ওভার পরই আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। রাওয়ালপিন্ডি আকাশ ছেয়ে যায় মেঘে, সবগুলো ফ্লাডলাইট জ্বালিয়েও খেলা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ পর ফ্লাড লাইড নিভিয়ে ফেলা হয়। উইকেটসহ মাঠের আশপাশের জায়গাও কভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এরপর বৃষ্টি শুরু হলে বাংলাদেশ সময় ৫টা ২০ মিনিটের দিকে দিনের বাকি অংশের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
দ্বিতীয় দিন টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ২৭৪ করে স্বাগতিকরা, জবাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও সেঞ্চুরিয়ান লিটন কুমার দাস ও হাফ সেঞ্চুরি করা মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান তোলে বাংলাদেশ।