জর্জি-স্টাবসের দাপট ও ‘মিসের মহড়ায়’ বাংলাদেশের হতাশার দিন
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটা হতাশায় শেষ হলো বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার দারুণ ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় থেকে গেলেন স্বাগতিকদের বোলাররা। তাইজুল ইসলাম ২টি উইকেট নিলেও প্রোটিয়াদের ওপর কোনো চাপ পড়েনি। ৮১ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৭ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা। টনি ডি জর্জি ১৪১ ও ডেভিড বেডিংহাম ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
আলো স্বল্পতার কারণে আজ ৯ ওভার আগে দিনের খেলা শেষ হয়। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া ডি জর্জি অবশ্য ৬ রানেই ফিরে যেতে পারতেন। ইনিংসের সপ্তম ওভারে হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ তোলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, যা নিতে পারেননি অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে লেগে বল বেরিয়ে যায়। ক্যাচ মিস ছাড়াও স্টাম্পিং, রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। বোলিংয়েও তেমন ধার ছিল না, সব মিলিয়ে হতাশায় দিন পার হলো ঘরের মাঠের দলটির।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালোই হয়। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান যোগ করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও ডি জর্জি। ৩৩ রান করা মার্করামকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। উইকেট হারানোর চাপ অবশ্য বুঝতে হয়নি তাদের। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে তোলেন দুই সেঞ্চুরিয়ান ডি জর্জি ও ট্রিস্টান স্টাবস।
৩৪২ বলে ২০১ রানের জুটি গড়েন তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে এটা দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ সেরা জুটি। বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিতীয় উইকেটে এটা তাদের সেরা জুটি, যেকোনো উইকেটে তৃতীয় সেরা। এই জুটি গড়ার পথে ১৯৮ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন স্টাবস, টেস্টে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। ডি জর্জিও টেস্টে আজ প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে স্টাবসকে আউট করেন তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনারের নিচু হয়ে যাওয়া বলে স্টাম্প ভেঙে যায় তার। ডেলিভারিটি তিনি বুঝতে পারেননি, বল পড়ে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায়। ব্যাকফুটে খেলা স্টাবস ব্যাট চালানোর সময় পাননি। দারুণ ইনিংস খেলার পরও হতাশা প্রকাশ করতে করতে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বেডিংহামকে নিয়ে দিনের বাকি অংশ পার করেন ডি জর্জি, অবিচ্ছিন্ন এই জুটি থেকে এসেছে ৩৩ রান। তাইজুল ২টি উইকেট নিলেও হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, মেহেদী হাসান মিরাজরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেননি।