রোনালদো-মেসির পর ইব্রাহিমোভিচ
'আমার মনে হয় আমি বিশ্বের সেরা'- এমন কথা বলে দিত একটুও রাখঢাক করেন না জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। কেন এমন কথা বলেন, সেটার প্রমাণ মাঠে দেন তিনি। সুইডেনের তারকা এই স্ট্রাইকারের ক্যারিয়ার আলো ঝলমলে। অর্জনের ঝুলি সমৃদ্ধ করে নেওয়া ইব্রাহিমোভিচ এবার দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে একবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ মিলিয়ে ৩০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শনিবার সিরি আ'তে উদিনেসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইব্রার দল এসি মিলান। যোগ করা সময়ে গোল করে দলকে হার থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি ৩০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
ইব্রাহিমোভিচের গোল মানেই সেটা দেখার মতো। প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে চোখ ধাঁধানো অনেক গোল করেছেন তিনি। তার মাইলফলক ছোঁয়ার গোলটিও ছিল চোখ জুড়ানো। বক্সের ভেতর বল পেয়ে অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে গোল আদায় করে নেন ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে মিলিয়ে ৪৫০তম ম্যাচে ৩০০ গোল পূর্ণ করলেন ইব্রা।
শীর্ষ পাঁচ লিগ মিলিয়ে ইব্রাহিমোভিচের করা ৩০০ গোলের অর্ধেকের বেশি (১৫৪) সিরি আ'তে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৩টি গোল করেছেন লিগ ওয়ানে। এবারের মৌসুমে মিলানের হয়ে তিনি গোল করেছেন ৭টি।
একটি পূর্ণ মৌসুমে ইব্রাহিমোভিচের গোলের গড় সবচেয়ে ভালো পিএসজির হয়ে ২০১৫-১৬ মৌসুমে। লিগ ওয়ানের ওই মৌসুমে গড়ে প্রতি ৬৭ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন তিনি। সেবার এক মৌসুমে লিগে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ডও গড়েন ইব্রা (১৩টি)।
সেবার লিগে ৩৮টি গোল করেন ইব্রাহিমোভিচ। গোলের উদ্দেশ্যে ১৫৫টি শট নিয়ে তার সফলতার হার ছিল ২৪.৫২ অংশ। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে ইব্রাহিমোভিচ তার প্রথম মৌসুমে (২০০৪-০৫) জুভেন্টাসের হয়ে লিগে ১৬টি গোল করেন। বার্সেলোনায় সময়টা ভালো না গেলেও ২০০৯-১০ মৌসুমে কাতালানদের হয়ে লা লিগায় ১৬টি গোল করেন এই সুইডিশ তারকা।
১৯৯৯ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করা ইব্রাহিমোভিচ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি আ ও লিগ ওয়ানে খেলেছেন। শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে বুন্দেসলিগায় খেলেননি তিনি। ২০০৪ সালে আয়াক্স থেকে জুভেন্টাসে পাড়ি জমান ইব্রা। এরপর তিনি খেলেছেন ইন্টার মিলান, বার্সেলোনা, এসি মিলান (২০১০-১২ ও ২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত), পিএসজি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে।