নিজের বয়স নিয়ে মিডিয়ার আলোচনায় শক্তি পান রশিদ খান
২৩ বছর বয়স চলছে রশিদ খানের। এরই মধ্যে আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার বয়স হয়ে গেছে সাত বছর। রশিদের বয়স যখন ১৯, তখনই তিনি তারকা। কিন্তু তার বয়স নিয়ে তখন থেকেই আলোচনা। ক্রিকেট ভক্তদের অনেকেই মনে করেন, এর চেয়ে অনেক বেশি বয়স তার। বয়স নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকারও হয়েছেন আফগান এই ক্রিকেটার।
রশিদের বয়সের ব্যাপারটি কখনও কখনও সংবাদমাধ্যমের খবরেও উঠে এসেছে। কিন্তু এসবে বিভ্রান্ত হন না তিনি। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এসব আলোচনায় নিজেকে অভ্যস্ত করে নিয়েছেন রশিদ। সংবাদমাধ্যমে নিজেকে জড়িয়ে নেতিবাচক খবর দেখলে বরং খুশি হন আফগান এই লেগ স্পিনার। এতে মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হন বলে জানালেন তিনি।
শনিবার মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারানোর পর মাঠে দাঁড়িয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রশিদ। যেখানে উঠে আসে তার বয়সের আলোচনা। এ নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি মিডিয়াতে অনেক আলোচনা দেখি, যেটা গ্রহণ করা উচিত নয়। বেশিরভাগ সময়ে আপনি মিডিয়াতে নেতিবাচক জিনিস দেখবেন। খুব কম সময়ে মিডিয়া থেকে ইতিবাচক কিছু নেয় মানুষ। যেটা খুব স্বাভাবিক।'
নেতিবাচক আলোচনা কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করে জানিয়ে রশিদ বলেন, 'খেলোয়াড় হিসেবে আমি এটার সঙ্গে অভ্যস্ত। যতো নেতিবাচক জিনিস আমি দেখি, সেখান থেকে আমি ততো অনুপ্রেরণা পাই। যেটা আমাকে মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী করে। আমার বিরুদ্ধে মিডিয়াতে আমি যতো বেশি নেতিবাচক আলোচনা দেখি, আমি ততো খুশি হই। এটা আমাকে আরও বেশি শক্তিশালী করে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করে, যা মাঠে আমাকে ভিন্নভাবে হাজির হতে সাহায্য করে।'
বিশ্বকাপ জেতার আগে বিয়ে করবেন না রশিদ, এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। রশিদ জানালেন এমন কথা কোথাও বলেননি তিনি, 'আমি এমন বার্তা অনেকবার পেয়েছি যে আমি বলেছি, বিশ্বকাপ জেতার পরই কেবল আমি বিয়ে করব। আমি জানি না আমি এটা কোথায় বলেছি। এটার কোনো ভয়েজ ক্লিপ নেই, কোনো বিবৃতি নেই, কোনো ভিডিও নেই। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছে এটা সত্যি কিনা।'
'আমি একটা সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলাম, আগামী দুই বছরে বিয়ে নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ দুই বছরে আমার দুটি বিশ্বকাপ আছে, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এরপর আমি আমার বিয়ে নিয়ে ভাবব। আমি জানি না ওই রকম কথা কখন বলেছি যা মিডিয়া ভিন্নভাবে নিয়েছে। ঠিক আছে এটা, ওটা তাদের কাজ। এখানে আমার আর কী বলার আছে।' যোগ করেন রশিদ।
আফগানিস্তান তালেবান শাসনের অধীনে। দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হওয়ার তেমন সম্ভাবনাই নেই। তবে রশিদের স্বপ্ন, আগামী ঘরের মাঠে বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলবেন তারা, 'এটা আমার বড় স্বপ্ন। আজ আমরা বাংলাদেশে খেলছি, আমরা দেখছি কীভাবে সবাই বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে। এটা অন্যরকম একটা অনুভূতি। আমি আমার দেশে খেলে এমন অনুভূতি নিতে চাই। এটা সব খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন। বিশেষ করে আফগানিস্তানে বাংলাদেশ বা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো বড় দলকে আতিথেয়তা দেওয়া দারুণ ব্যাপার হবে। আমি আশা করি এটা বাস্তবে রূপ পাবে। এটা আমাদের দেশের স্বপ্ন, সব খেলোয়াড়ের স্বপ্ন।'