তিন মাইলজুড়ে একজনের স্বাক্ষর!
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এক কৃষক গবাদিপশুর বিচরণের জন্য জমি পরিষ্কার করছিলেন। ওই সময় তিনি বড় করে নিজের নাম লিখতে পর্যাপ্ত গাছ রেখে দেন। সেই গাছগুলো দিয়ে তিনি ছয় অক্ষরে লেখেন এলইউইসিকেই বা লুক। ঘটনাক্রমে সেই স্বাক্ষরই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
অডিটিসেন্ট্রাল ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশাল অক্ষরযুক্ত কৃষকের স্বাক্ষরকে নাসা কাজে লাগায় তাদের স্যাটেলাইট ক্যামেরার মান যাচাইয়ে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টেক্সাস অঙ্গরাজ্য পুলিশের সদস্য ছিলেন জিমি লুক। তেল ব্যবসার মাধ্যমে ভাগ্য ফেরাতে ১৯৮০ সালে মহাসড়ক পাহারার এ চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।
একপর্যায়ে ব্যবসায় সফল হয়ে মিলিয়নিয়ারও বনে যান লুক। সে অর্থের বেশিরভাগ তিনি স্মিথভিল শহরের বাইরে জমিতে খাটান। তিনি জমিতে পশুপালন শুরু করেন।
১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে লুকের পশুর পাল এতটাই বড় হয়ে যায় যে, তার গাছপালা থাকা বেশ কিছু জমি সাফ করতে হয়। তবে তিনি সব গাছ উপড়ে ফেলতে চাননি। তিনি গাছকে প্রক্রিয়া করে বানান বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাক্ষর।
স্মিথভিলের বাইরে বুসচার স্টেট পার্কে জমিতে তিন মাইলজুড়ে লেখা হয় লুক নামটি। ওই নামের প্রতিটি অক্ষর হাজার ফুট উচ্চতার। সে সময় জিমি লুক নিছক মনের খেয়ালে তার স্বাক্ষর এঁকেছিলেন। কিন্তু সেটিই কাজে লাগে নাসার।
কয়েক বছর আগে নাসা জানায়, লুক স্বাক্ষরটির মাধ্যমে মহাকাশযানে থাকা নভোচারীরা ক্যামেরার সর্বোচ্চ রিজুলেশন নিরূপণ করতে পারেন।