১৯১৬ সালে আমেরিকা সফরে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আততায়ীদের টার্গেট
অক্টোবর, ১৯১৬। তিন মাসের দীর্ঘ যুক্তরাষ্ট্র সফরের অংশ হিসেবে স্যান ফ্রান্সিসকো পৌঁছলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দেশটিতে এটি তার দ্বিতীয় সফর।
রবীন্দ্রনাথ যখন ইউরোপে সফর করেন, তখন সেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগুন জ্বলছে। যুক্তরাষ্ট্রে মহাযুদ্ধের ছোঁয়া লাগে ১৯১৭ সালের এপ্রিলে। ওই সময় আটলান্টিক রুট বন্ধ ছিল। তাই রবীন্দ্রনাথকে জাপান থেকে যাত্রা করে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ১৯১৬ সালের ৪ অক্টোবর অরিগনের পোর্টল্যান্ডে পৌঁছতে হয়। ৪ অক্টোবর তিনি স্যান ফ্রান্সিসকোর মাটিতে পা রাখেন। এর কয়েকদিন পরই সেখানে রবীন্দ্রনাথকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষুদ্র দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়গুলো রবীন্দ্রনাথকে কোন দৃষ্টিতে দেখত, তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় এ ঘটনা থেকে। ঘটনাটির সঙ্গে যুক্ত ছিল দুটি সংগঠন—স্টকটনের খালসা দিওয়ান সোসাইটি ও হিন্দুস্তান গদর পার্টি। দ্বিতীয়টির সদর দপ্তর স্যান ফ্রান্সিসকোতে। সংগঠন দুটির জন্ম কয়েক মাসের ব্যবধানে।
খালসা দিওয়ান সোসাইটি ছিল মূলত ধর্মীয় ও সমাজ-সংস্কারমূলক সংগঠন। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১২ সালে। এই সংগঠন ১৯১৫ সালে স্টকটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম স্থায়ী গুরুদুয়ারা প্রতিষ্ঠা করে। আর গদর—উর্দুতে যার অর্থ 'বিপ্লব'—প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৩ সালে। সংগঠনটির রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল। গদর পার্টির লক্ষ্য ছিল মূলত পাঞ্জাবি অভিবাসীদের মধ্য থেকে অর্থ ও স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দেওয়া। ১৯১৫ সালে—রবীন্দ্রনাথের সফরের এক বছর আগে—জার্মান এজেন্টদের সহায়তায় সক্রিয়ভাবে ভারতে বন্দুক পাঠানোর চেষ্টাও করেছিল গদর। যদিও সেই প্রচেষ্টা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়।
গদর পার্টি ও রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমেরিকা সফর রাজনৈতিক ছিল না। এ কারণেই গদর পার্টি তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তৎকালীন গদর নেতা রামচন্দ্র ভরদ্বাজের সম্পাদনায় হিন্দুস্তান গদর প্রকাশিত হতো। পত্রিকাটি পাঞ্জাবি ও উর্দু—মাঝে মাঝে ইংরেজিতেও প্রকাশিত হতো। রামচন্দ্র ছিলেন ব্রিটিশ নীতির কট্টর সমালোচক। তাছাড়া ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিরোধেরও পক্ষপাতী ছিলেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে প্রথম সম্পাদকীয়তে, অক্টোবরের শুরুতে, রামচন্দ্র ব্রিটিশদের রীতিমতো সমালোচনার বাণে জর্জরিত করেন। এছাড়া তিনি জগদীশ চন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথসহ ভারতীয় বুদ্ধিজীবীদের ওপর সেন্সরিং ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। কিন্তু অক্টোবরের শুরুর দিকে সবকিছু বদলে যায়। ওই সময় রবীন্দ্রনাথ স্যান ফ্রান্সিসকোতে ছিলেন, ওখানে উঠেছিলেন প্যালেস হোটেলে।
১৯১৬ সালের ৫ অক্টোবর স্যান ফ্রান্সিসকো এক্সামিনার-এ রামচন্দ্রের একটি একটি দীর্ঘ চিঠি ছাপা হয়। সেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথের তীব্র সমালোচনা করেন। ব্রিটিশদের কাছ থেকে নাইট উপাধি গ্রহণ করার জন্য রামচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করেন। এছাড়া ব্রিটিশ শাসনকে মোগল শাসনের মতো 'সদাশয়' মনে করার জন্যও তিনি রবীন্দ্রনাথকে সমালোচনার বাণে জর্জরিত করেন। রামচন্দ্র বলেন, মোগলদের দরবারে হিন্দুদের উচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ব্রিটিশ সরকারে (স্থানীয় ও কেন্দ্রীয়) ব্রিটিশদের তুলনায় হিন্দুর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। তিনি লেখেন, ব্রিটেনের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের সম্পদ চলে গেছে।
স্যান ফ্রান্সিসকোতে গোলমাল
এদিকে স্যান ফ্রান্সিসকোর গোয়েন্দা উইলিয়াম মান্ডেল আগেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ব্রিটিশ গোয়েন্দা এজেন্টদের ভারতীয় বিদ্রোহী কার্যকলাপের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। মান্ডেল আসলে ছিলেন একরকমের ডাবল এজেন্ট। কেননা রামচন্দ্র ও তার সহযোগীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য গদরদের একটি গ্রুপ তাকে নিযুক্ত করে। গদরদের ওই গ্রুপের বিশ্বাস ছিল, রামচন্দ্র নিজে রিয়েল এস্টেট কেনার জন্য জার্মানদের কাছ থেকে আসা অর্থ সরাচ্ছেন। তাদের এ সন্দেহের পেছনে যুক্তিসংগত কারণও ছিল। যাহোক, রবীন্দ্রনাথের ওপর সম্ভাব্য হামলার তথ্য মান্ডেল পুলিশকে জানিয়েছিলেন।
৫ অক্টোবর প্যালেস হোটেলের ঠিক বাইরে—রবীন্দ্রনাথ যেখানে থাকতেন—খালসা দিওয়ানের দুই সদস্য, বিষেন সিং মাট্টু ও উমরাও সিংয়ের ওপর হাতেশি সিং ও জীবন সিং নামে দুজন ব্যক্তি হামলা করেন। পড়ে জানা যায়, হাতেশি ও জীবন ছিলেন গদর পার্টির সদস্য। তার মাথার পাগড়ি ছিঁড়ে ফেলেন দুই আক্রমণকারী। পুলিশ আসার আগেই দুপক্ষে বেধে যায় মারামারি। মারামারির জেরে গদর সদস্যদের জেলে ঢোকানো হয়।
মাট্টু পরে ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দেন। তারা ফ্রেসনো থেকে স্টকটনে যাচ্ছিলেন ট্রেনে চেপে। ট্রেনেই তারা আলাপের একপর্যায়ে এক 'হিন্দু' সহযাত্রীকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলে ফেলেন। আলামিডা টার্মিনালে ওই সহযাত্রী বিদায় নেন। মাট্টুর বিশ্বাস ছিল, ওই 'ইনফরমার'ই রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্রণ জানানোর তথ্য গদরের কাছে পৌঁছে দেয়।
পরে গোয়েন্দারা জানান, গদরকর্মীদের আক্রমণের আসল লক্ষ্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কবি অবশ্য অক্ষতই ছিলেন। দুজন অতি-উৎসাহী গোয়েন্দাকে বহাল করা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। রবীন্দ্রনাথ বক্তৃতা দিয়েছিলেন কলম্বিয়া থিয়েটারে। সেখানে ওই দুই গোয়েন্দা কোনো 'হিন্দু'কে (ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে সমস্ত দক্ষিণ এশীয়কেই হিন্দু বলে ডাকা হতো) প্রবেশ করতে দেননি। প্যালেস হোটেলেও রবীন্দ্রনাথের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, রবীন্দ্রনাথকে মঞ্চের দরজা দিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর গোপনে হোটেলের পেছনের প্রবেশপথ দিয়ে তাকে হোটেলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথকে সমস্ত এনগেজমেন্ট বাতিল করে তৎক্ষণাৎ স্যান ফ্রান্সিসকো ছাড়তে বলা হয়েছিল। সেজন্য ফের তাকে একই কৌশলে হোটেল থেকে বের করে গোপনে ঘণ্টাখানেক দূরত্বের সান্তা বারবারায় নিয়ে যাওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষেন সিং মাট্টুর উপর হামলা হওয়ার বিষয়ে কিছু জানার কথা অস্বীকার করেছিলেন। তিনি শুধু বলেছিলেন যে, এটি তার কাছে স্রেফ 'রাজনৈতিক মতপার্থক্য' নিয়ে গোলমাল মনে হয়েছিল, যে ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহ নেই।
'দ্য কাল্ট অভ টেগোর'
এক্সামিনার লিখেছে, এই আতঙ্ক সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ স্যান ফ্রান্সিসকোতেই সবচেয়ে বড় সাফল্য পান। পত্রিকাটির খবরের শিরোনাম ছিল, 'দ্য কাল্ট অভ টেগোর হ্যাজ টেকেন দ্য ওয়ার্ল্ড বাই স্টর্ম'। ১৯৬২ সালে আমেরিকান কোয়ার্টারলি-তে বিশিষ্ট পণ্ডিত স্টিফেন হে লেখেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি বক্তৃতায় প্রচুর লোকসমাগম হতো।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস লিখেছে, ৫৫ বছর বয়সি রবীন্দ্রনাথকে দেখে মনে হয় যেন যিশু খ্রিষ্টের মানবরূপ। তাকে ভারতের নতুন জাতীয়তাবাদের অনুপ্রেরণা ও আধুনিক শিক্ষার ভিত্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ওই লেখায়।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস আরও লেখা, 'দেশের অন্য যেকোনো শহরের তুলনায় এ শহরে তার বই বেশি বিক্রি হয়।'
ক্যালিফোর্নিয়ার সংবাদপত্র হ্যানফোর্ড কিংস কাউন্টি সেন্টিনেল-এ 'হোয়াই দ্য ওয়ার্ল্ড লাভস তেগোর' নামে একটি লেখা ছাপা হয়। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস অক্টোবরের শেষের দিকে রবীন্দ্রনাথের সফর ও তার বইগুলোর ওপর একটি বিস্তারির লেখা ছাপে। ওই বছরের পুরো নভেম্বর নিউইয়র্কে কাটান রবীন্দ্রনাথ। নিউ ইয়র্ক টাইমসের লেখায় তাকে 'লম্বা, সুন্দর মানুষ' হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ওই লেখায় আরও বলা হয়, ওয়াল্ট হুইটম্যানের সঙ্গে তার চেহারার কিছুটা মিল আছে।
১৯৬২ সালে আমেরিকান কোয়ার্টারলিতে প্রকাশিত 'টেগোর ইন আমেরিকা' নিবন্ধে স্টিফেন বলেন, রবীন্দ্রনাথের বক্তৃতার মূল বিষয় ছিল 'জাতীয়তাবাদের কাল্ট'। রবীন্দ্রনাথ ওসব বক্তৃতায় আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের অনিয়ন্ত্রিত লোভের সমালোচনা করেন।
আমেরিকান শ্রোতাদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্দেহ, লোভ ও আতঙ্কের বিষাক্ত পরিবেশে বসবাসকারী মানুষ জাতীয়তাবাদের উন্মাদনার কাছে নিজ স্বাধীনতা ও মানবতাকে বলি দিচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথ বোস্টন সফর সংক্ষিপ্ত করে ফেলেন। ততদিনে সফর করতে করতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ১৯১৭ সালে 'ন্যাশনালিজম' বইটি লেখা শেষ করার পর তিনি এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনকে উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯১৭-১৮ সালে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রের বিচারকাজের সময় রবীন্দ্রনাথের নাম চলে আসায় তার এ উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়।
'হিন্দু-জার্মান' ষড়যন্ত্র
হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রের ফলে জার্মানদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে বেশ কয়েকজন গদর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমেরিকার নিরপেক্ষতা আইন অনুসারে এ ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল বেআইনি। স্যান ফ্রান্সিসকোতে ১৯১৭ সালের নভেম্বরে এ ষড়যন্ত্রের বিচারকার্য শুরু হয়। বিচারের সময় দুবার রবীন্দ্রনাথের নাম আসে।
শিকাগোতে গ্রেপ্তার হওয়া গদরকর্মী হেড়ম্ব লাল গুপ্ত, রাম চন্দ্রকে টেলিগ্রাম করে জাতীয় বিষয়ের ওপর রবীন্দ্রনাথের আইডিয়াগুলোর অনুলিপি পাঠাতে বলেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, কবির এসব আইডিয়াকে 'প্রোপাগান্ডা' হিসেবে ব্যবহার করা।
আমস্টারডামে এক জার্মান এজেন্টের কাছে ওয়াশিংটন ডিসির একজন ভারতীয় এজেন্টের পাঠানো চিঠিতে দৃঢ়তার সঙ্গে বলা হয় যে রবীন্দ্রনাথ 'আমাদের পরামর্শে'ই যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ওই চিঠিতে আরও বলা হয় যে, জাপান সফরে রবীন্দ্রনাথ হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রের পক্ষে কাউন্ট ওকুমা ও অন্যদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। বিচার চলাকালে প্রসিকিউটিং আইনজীবী জন প্রেস্টনকে ডিফেন্স অ্যাটর্নি জিজ্ঞেস করেছিলেন, রবীন্দ্রনাথকে কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। এর জবাবে অপরজন বলেন, 'তিনি তাড়াহুড়ায় ছাড়া পেয়ে গেছেন।'
এই খবর রবীন্দ্রনাথের কানে পৌঁছায় ১৯১৮ সালের এপ্রিলে, বিচারের শেষ দিকে। ওই বছরের ২৩ এপ্রিল আদালতকক্ষে প্রতিপক্ষ এক গদর সদস্যের গুলিতে মারা যান রাম চন্দ্র।
ষড়যন্ত্র মামলায় নিজের নাম টেনে নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৯১৮ সালের ১২ মে একটি টেলিগ্রাম ও ৩১ জুলাই একটি চিঠি পাঠান রবীন্দ্রনাথ। তার বিরুদ্ধে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার মিথ্যা অপবাদ ও কষ্টকল্পিত প্রমাণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান বিশ্বকবি।
টেলিগ্রামটি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এর কিছুদিন পরই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসানের জন্য জার্মানি ও অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। এর ফলে আমলাতান্ত্রিক আদান-প্রদানের ভিড়ে রবীন্দ্রনাথের ওই তারবার্তা হারিয়ে যায়। এর জেরে ১৯১৭ সালে উৎসর্গ ছাড়াই প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের ন্যাশনালিজম। তার এই বইটি বহুল পঠিত এবং প্রায়ই নানা উপলক্ষে উদ্ধৃত হয়। ১৯১৯ সালে ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পরপরই রবীন্দ্রনাথ তার নাইটহুড ত্যাগ করেন। এরপর তিনি আরও তিনবার—১৯২০-২১, ১৯২৮ ও ১৯৩০ সালে—যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান।
- সূত্র: স্ক্রল ডটইন