আন্তর্জাতিক যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ১৬ হাসপাতাল নির্ধারণ
বিদেশে যাবেন, এমন যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ১৬টি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিভাগের সুপারিশকৃত হাসপাতালগুলো হলো:
ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন; নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল; চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস; বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ; কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ (আইইডিসিআর ফিল্ড ল্যাবরেটরি); কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ; খুলনা মেডিকেল কলেজ; কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ; ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ; বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ; রাজশাহী মেডিকেল কলেজ; এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর; রংপুর মেডিকেল কলেজ এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালগুলোর জন্য ১০টি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।
প্রতিজন আন্তর্জাতিক যাত্রীর কাছ থেকে হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করালে সাড়ে ৩ হাজার টাকা কিংবা বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ফি নিতে হবে।
যে জেলায় টেস্ট করাবেন, সেখানকার সিভিল সার্জন অফিসে বসানো একটি আলাদা বুথে নমুনা জমা দেবেন ভ্রমণকারীরা।
নমুনা জমা দেওয়ার আগে বিমানের টিকেট ও পাসপোর্ট দেখাতে হবে।
নমুনা জমা দেওয়ার পর যাত্রীকে বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে পাঠাতে হবে।
ফ্লাইটের ৭২ ঘণ্টা আগে কোনো নমুনা গ্রহণ করা যাবে না; প্রস্থান বা ডিপারচারের ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট ডেলিভারি দিতে হবে।
রিপোর্ট দেওয়ার সময় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
রেজাল্টের প্রতিবেদন প্রতিদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠাতে হবে। ২৩ জুলাই থেকে কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট দেওয়া বাধ্যতামূলক।
হাসপাতালগুলোকে ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে করোনাভাইরাস টেস্টের রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে। এর ভিত্তিতেই সুরক্ষা সেবা বিভাগ ব্যবস্থা নেবে।
সংশ্লিষ্ট সব সিভিল সার্জন অফিসে কল সেন্টার চালু করতে হবে এবং হটলাইন নম্বরগুলো
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ও ওইসব নমুনা পরীক্ষা ও রিপোর্ট পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া প্রকাশ করবে।