একদিনে সর্বোচ্চ ২৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩০ হাজার ছাড়াল
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪৩২ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৯৪ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫ জনে।
শুক্রবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৯৯৩টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৯ হাজার ৭২৭টি পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট ৪৭টি ল্যাবে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়।
মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা, ৯ জন চট্টগ্রাম, ১ জন বরিশাল ও ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তাদের মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে ও ৮ জন নিজ বাসায় মারা গেছেন। আরেকজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
মৃত ২৪ জনের বয়স:
- ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী: ৫ জন।
- ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী: ৩ জন।
- ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী: ২ জন।
- ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী: ৫ জন।
- ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী: ৬ জন।
- ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী: ২ জন।
- ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী: ১ জন।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৮৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৬ হাজার ১৯০ জন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে সেরে উঠলেন।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।
এক নজরে বাংলাদেশের করোনাচিত্র:
- মোট আক্রান্ত: ৩০ হাজার ২০৫ জন।
- মারা গেছেন : ৪৩২ জন।
- মোট সুস্থ : ৬ হাজার ১৯০ জন।
- মোট নমুনা পরীক্ষা: ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪১টি।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু করেছে।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ৫২ লাখ ৯ হাজার ৮৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ লাখ ৯২ হাজার ৭৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও প্রাণ গেছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৮ জনের।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যেসব দেশে:
- যুক্তরাষ্ট্র: ৯৬ হাজার ৩৫৯ জন।
- যুক্তরাজ্য: ৩৬ হাজার ৪২ জন।
- ইতালি: ৩২ হাজার ৪৮৬ জন।
- ফ্রান্স: ২৮ হাজার ২১৫ জন।
- স্পেন: ২৭ হাজার ৯৪০ জন।
- ব্রাজিল: ২০ হাজার ৮২ জন।
- বেলজিয়াম: ৯ হাজার ১৮৬ জন।
- জার্মানি: ৮ হাজার ৩০৯ জন।
- ইরান: ৭ হাজার ২৪৯ জন।
- মেক্সিকো: ৬ হাজার ৫১০ জন।