কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আবারও ১৪৪ ধারা জারি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এর আগেও গত ২২ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর।
তিনি বলেন, উপজেলা আ.লীগের দু'পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশংকায় ১০ মার্চ বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ চলাকালে পৌর এলাকায় ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণ জমায়েত, সভা, সমাবেশ, মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রা, যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে পৌর শহরে ৪ জনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবে না।
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের চলমান সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন নামের এক সিএনজি চালক নিহত হন। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০জন। এদের মধ্যে হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ৯ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের গোলাগুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হয়। এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ঘোষণা করেন। পরে আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন।