গণধর্ষণের পর ৭ টুকরা, বরগুনায় একজনের ফাঁসি
বরগুনার আমতলীতে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে গলা কেটে হত্যা ও সাত টুকরা করার দায়ে একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
ফারিয়া ইসলাম মালা নামের ওই ছাত্রী হত্যা মামলার আসামিদের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান এসব আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন নিহত মালার মামাতো বোনের স্বামী ও পটুয়াখালীর সুবিদখালী উপজেলার ভয়াং এলাকার আলমগীর হোসেন পলাশ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন পলাশের ভাগ্নির স্বামী ও বরগুনার আমতলীর বাসিন্দা আইনজীবী মইনুল হোসেন বিপ্লব।
ধর্ষণ ও লাশ লুকানোর চেষ্টার দায়ে সাত বছর কারাদণ্ড পেয়েছেন পলাশ, পলাশের সহকারী রিয়াজ ও আইনজীবী বিপ্লব। সে হিসেবে একাধিক অপরাধের দায়ে দুবার সাজা পেয়েছেন পলাশ ও বিপ্লব।
বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনার আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় মালাকে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। পরে আসামিরা মৃতদেহটি সাত টুকরা করার পর লুকানোর জন্য পানিতে ধুয়ে রক্ত দূর করে দুটি ড্রামে ভরে রাখে।
খবর পেয়ে পুলিশ বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে মালার ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে।
সে সময় বিপ্লবের বাসা থেকেই পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার রাতে বিপ্লব ও পলাশের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ।
বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল সাজার বিষয়টি জানান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বলেন, "আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে যাব।"