দালাল ছাড়া ঋণ পায় না চরের কৃষক, কৃষি যন্ত্রের জন্য হাহাকার
পিছিয়ে পড়া চরাঞ্চলের কৃষকরা দালালের সহযোগিতা ছাড়া কৃষিঋণ পায় না। আবার ঋণ হিসেবে পাওয়া অর্থের ৩০-৪০ শতাংশ 'ঘুষ' হিসেবে দিতে হয় দালালদের।
সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, রংপুর, কিশোরগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার চরাঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
চরাঞ্চলের কৃষকরা জানান, ব্যাংকগুলো জামানত হিসেবে চরের জমি নেয় না। বাধ্য হয়েই এর ফলে কৃষিঋণ গ্রহণের বিকল্প উপায় দালাল। দালালের মাধ্যমে ব্যাংকে গেলে গ্রহীতাকে জামানত নিয়েও কোন চিন্তা করতে হয় না।
তবে যে দালাল ঋণ পেতে সহযোগিতা করছেন তাকে ঋণের বড় একটা অংশ দিয়ে দিতে হয়। যে কারণে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রেও কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা তৈরি হয়েছে। পরবর্তীতে এসব কৃষক ঋণ পরিশোধে আগ্রহ পায় না এবং বিকল্প উৎস হিসেবে এনজিও বা মহাজনের কাছ থেকে সুদে ঋণ নিয়ে থাকে।
জামালপুরের বকশিগঞ্জ থানার মেরুরচর ইউনিয়নের কৃষক শাহ সুলতান মৌসুম অনুযায়ী মরিচ, ভুট্টা, গম বা বোরো ধানের আবাদ করেন। তিনি বছর কয়েক আগে দালাল ধরে ঋণ নিয়েছিলেন প্রায় ১৫ হাজার। যেখান থেকে ৭ হাজারের মত খরচ করতে হয়েছে দালালের পেছনে।
যে কারণে তিনি আর ব্যাংকের ঋণও পরিশোধ করেননি, আর কখনো ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার চিন্তাও করেননি।
এই ইউনিয়নের নারী কৃষক মোছা. কাজুলী জানান, 'আমরা দালাল ছাড়া অফিসে গেলে কেউ কথাও বলবে না'।
একই এলাকার শাহ সুলতান, মো. তারা মিয়া, মো. গোলাম রব্বানী সহ কয়েকজন কৃষকও জানান, মিডলম্যান (দালাল) ছাড়া ঋণ পাওয়া যায় না। জমির কাগজ বা জামানতও দালাল।
এরকম এক মিডলম্যান মো. শের আলী। ব্যাংক, কৃষি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে তার নিয়মিত যাতায়াত। ঋণ, কৃষি অফিসে বিনামূল্যে আসা সার, বীজসহ সরকারি নানা সুবিধার জন্য তার তদবির গুরুত্বপূর্ণ। তার তদবিরে যে কৃষকের জমি নেই সেই কৃষকও বিনামূল্যের সার পেয়ে যায়।
তিনি বলেন, 'নিজের প্রয়োজনেই বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ রক্ষা করি। এই যোগাযোগ গ্রামের আরও অনেকের কাজে লাগে।'
কৃষকরা জানান, যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে তাদের বেশিরভাগই ঋণ ফেরত দেয়নি। তারা এখন ব্যাংকেও যায় না। সবাই বিভিন্ন মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করছে। এরপর তারা ঋণের জন্য এনজিও বা দালালের উপর নির্ভর করে।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্চের চিকাজানী ইউনিয়নের চরের কৃষক মো. চান আলী বলেন, 'দালাল ধরে ঋণ নেওয়ার চেয়ে সুদে টাকা নেয়া ভালো। খরচ কম পড়ে'।
বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার টিবিএসকে বলেন, 'ঋণ বা প্রণোদনার উপকরণ পাওয়া নিয়ে সব সময়ই কিছু অভিযোগ উঠে। সীমিত প্রণোদনা হয়তো সবাই পায় না। তবে আমরা চেষ্টা করবো ইউএনও, কৃষি কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ একসঙ্গে সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করতে'।
এদিকে অক্সফাম ও সিপিডি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় কৃষি ঋণ ও কৃষি সেবার বিষয়ে চরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে 'গণতান্ত্রিক সুশাসনে জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ' শিরোনামে একটি সামাজিক নিরীক্ষা পরিচালিত করেছে। এর নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি অংশে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার কৃষকদের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
সাক্ষাতকার নেয়া ১০০ (সবাই ঋণগ্রহীতা) জন্য কৃষকের ৩৪ জন বলেছেন ঋণ পেতে তদবির করতে হয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ আবার অর্থের লেনদেনের কথা স্বীকার করেছেন। ৫৩ শতাংশের ক্ষেত্রে কৃষিঋণ পেতে জামানত, গ্যারান্টার বা বিশিষ্ট্য ব্যক্তির সহযোগিতা লেগেছে। ঋণ সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে ৮৯ শতাংশ কৃষক কোন ধরনের অভিযোগ করেন না বলে উঠে এসেছে।
কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওড়ের ১০০ কৃষকের মধ্যে একই নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৩৬ শতাংশ কৃষকের ঋণ পেতে তদবিরের প্রয়োজন হয়েছে। এখানেও ৬ শতাংশ দালাল ধরে ঋণ নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন তারা।
প্রায় একই ধরনের চিত্র উঠে এসেছে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জের হাওড়ের চরগুলোতে পরিচালিত নিরীক্ষায়।
প্রকৃত কৃষক সরকারের প্রণোদনা পায় না
চরাঞ্চলের কৃষকরা সারাবছর বন্যা ও খরার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাদাম, ডাল, মরিচ, পাট, সরিষা, মিষ্টি আলু, তিল, ভু্ট্টা, মাসকলাইসহ নানা ফসল ফলানোর চেষ্টা করে। অথচ তারা নিয়মিত এসব পণ্যের বীজ কিনতে পারে না। বিনামূল্যে বীজ, সার বিতরণ করে সরকার যে প্রণোদনাটুকু দেয় তাও আবার প্রকৃত কৃষকদের কাছে পৌঁছে না।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা পাড়ের দুর্গম চরের একটি হাটগোরজান ইউনিয়ন। এর ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করলেই একটি দিন শেষ হয়ে যায়। মহিলা কৃষক মমতা স্থানীয় মেম্বারকে বলে রেখেছিলেন মৌসুমের সময় সরকারের কাছ থেকে সবজির বীজ আসলে তাকে যেন দেয়া হয়। কিন্তু মেম্বারের ওপর ভরসা রেখে সেই বীজ আর পাননি তিনি।
পরবর্তীতে এই ইউনিয়নের ৩০ জন মহিলা কৃষক মিলে একটি কৃষি সমিতি করেন। এই সমিতির মাধ্যমে একবার সামান্য কিছু বীজ পেয়েছিলেন, যা সবাই ভাগ করে নেন।
অক্সফাম সারাদেশে 'রিকল' নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যে প্রকল্পের আওতায় চরাঞ্চলের নারীদের সংগঠিত করে কৃষিকাজে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমেই মূলত সমিতিটি তৈরি হয়েছে।
আরও কয়েকজন কৃষক দাবি করেন, ফ্রি বীজ, সার যেটাই আসুক তা মেম্বার, চেয়ারম্যানের কাছের লোকজনই বারবার পায়। প্রকৃত কৃষকদের নাম থাকলেও তারা সেটা পায় না। বরং প্রকৃত কৃষকদের কার্ড নিয়ে সহায়তা দেয়া হয় অন্যজনকে। গ্রামবাসীরা জানান, প্রকৃত কৃষকের ২০ শতাংশও সরকারের প্রণোদনা পায় না।
তারা জানান, এমনিতেই যে পরিমাণ সার, বীজ প্রণোদনা হিসেবে আসে সেগুলো অপ্রতুল। তারপরও যারা প্রকৃত কৃষক তাদের কাছে এসব প্রণোদনা ঠিকভাবে পৌছে না। এতে তারা কৃষি কর্মকর্তাদের গাফিলতিকেই দায়ি করেন।
এই সমিতির একজন ৬০-৬৫ বছর বয়সী কৃষক লালবানু। পরিবারের কৃষিকাজের নেতৃত্বে থেকে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ৭ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেন। তিনি বলেন, 'আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জমিয়ে রেখেছি। ব্যাংক, কৃষি অফিসের কাছে বারবার ঘুরেও আমরা টিলার মেশিনটি কিনতে পারছি না। যে কারণে আমাদের জমি চাষে খুব সমস্যা হচ্ছে'।
অথচ সরকার অঞ্চলভেদে ৫০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে কৃষিযন্ত্র বিতরণ করছে কৃষকদের মধ্যে। প্রত্যন্ত চরের এই মানুষগুলো টাকা যোগাড় করেও কৃষিযন্ত্র কিনতে পারছে না। তাদেরকে কৃষিযন্ত্র কেনায় স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারাও খুব একটা সহযোগীতা করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
লালবানু টিবিএসকে বলেন, 'আমাদের একটা টিলার মেশিন খুব দরকার। কিন্তু আমরা তা কিনতে পারছি না'।
নেত্রকোনা জেলার উত্তরদানকারী ৯০ জন কৃষকের মধ্যে ৫২ জন এবং সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওড়ের ৭০ জন কৃষকের মধ্যে ৩৮ জন দাবি করেন তাদের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের সরাসরি কোন যোগাযোগই হয়না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌহালী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আফছার উদ্দিন টিবিএসকে বলেন, 'আমরা প্রকৃত কৃষকদের চিনি এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু প্রণোদনা বিতরণে মেম্বার চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটা কমিটি রয়েছে, যাদের সুপারিশ ছাড়া প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হয় না। এখানেই বিতরণে সমস্যা তৈরি হয়।
তবে কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে অসহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি বলেন, 'কৃষকদের সহযোগিতা না করার কোন সুযোগ নেই। আমরা দ্রুত তাদেরকে সহযোগিতার ব্যবস্থা করবো।'
বিরূপ প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে ফসল ফলায় চরের কৃষক
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ৩৫টি জেলার ১২১টি উপজেলার অংশবিশেষ জুড়ে রয়েছে চর। চরাঞ্চলে প্রায় ১ কোটি লোকের বসবাস। বাংলাদেশের মোট জমির প্রায় ১০ শতাংশ হচ্ছে চরভূমি।
রংপুর বিভাগের ৫টি জেলার মোট আবাদযোগ্য জমির ১৫.৯৪ শতাংশ রয়েছে চরাঞ্চলে। নদীভাঙন, বাঁধভাঙন, বন্যা, অতিবৃষ্টি, উজানের পানি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে চরাঞ্চলের কৃষিজমি বর্ষা ও বন্যা মৌসুমের প্রায় ৪-৫ মাস থাকে পানির নীচে।
সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, রংপুরসহ বেশ কয়েকটি চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, এলাকাগুলোতে আধুনিক সেচযন্ত্রের অভাব প্রকট। যে কারণে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। ফলে ফসলের আবাদ ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না, আবার ফলনও কমে যাচ্ছে।
অনেক কৃষক সেচযন্ত্রের অপর্যাপ্ততার কারণে বোরো ধানের আবাদ করছে সীমিত পরিসরে। আবার অনেকে জমি প্রস্তুত করেও পাটের বীজ বুনতে হচ্ছে দেরিতে। তাদেরকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে একদফা বৃষ্টির জন্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জের হাটগোরজান এলাকার কৃষক মজিবর রহমান টিবিএসকে বলেন, '৪ বিঘা জমিতে ইরির আবাদ করেছি। কিন্তু পানি দিয়ে কুলানো যাচ্ছে না। অনেক পানির দরকার। পানির অভাবে পাট বুনা সম্ভব হচ্ছে না'।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমতল এলাকার চেয়ে তিনগুণ, চারগুণ বেশি পানি দিতে হয়। যে কারণে জমি থাকলেও পর্যাপ্ত সেচযন্ত্রের অভাবে সব জমি আবাদ করা যাচ্ছে না।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার একটি গ্রাম হাটগোরজান। উপজেলা থেকে গ্রামটিতে আসতে অন্তত ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। সমতল রাস্তা, নদীর তলদেশ ও পাড় দিয়ে তৈরি হওয়া হাঁটা পথ এবং নদী পাড়ি দিয়ে পৌঁছতে হয় গ্রামটিতে। একজন কৃষক কোন কারণে কৃষি অফিসে গেলে তার যাওয়া আসাতে পুরো দিনটাই চলে যায়। আবার টেলিফোনে যোগাযোগ করলে সেভাবে পাত্তাও দেয় না কৃষি অফিসাররা।
চরের কৃষির উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ, লক্ষ্য এসডিজি গোল পূরণ
তবে সরকারের এসডিজির দুই নম্বর গোল অর্জন করতে হলে এসব পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন করতে হবে। একই সঙ্গে টেকসই কৃষির প্রসার এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্রের অবসান ঘটাতে হবে (এসডিজি গোল ১)।
অবশ্য চর এলাকার কৃষির উন্নয়ন ও অঞ্চল উপযোগী ফসলের চাষাবাদ বাড়াতে একটি প্রকল্প নিতে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। যা বাস্তবায়ন করা হবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডি এ ই) মাধ্যমে। 'বাংলাদেশে চর এলাকা উপযোগী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন' শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাবনা কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ১০০০ হেক্টরের বেশি আয়তনের জমি আছে এমন চরের উপজেলাগুলোকে আনা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে ৫ বছরে।
প্রকল্পের মাধ্যমে উপযোগী ফসল নির্বাচন, সেচ পাম্প, সোলার পাম্প, ফিতা পাইপ সহ অন্যান্য সেচ সরঞ্জাম প্রাপ্তি সহজ করা, সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও সেচের পানির ব্যবস্থাপনা, ফসলের নিবিড়তা ও শস্য বহুমুখীকরণ, কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার, উৎপাদিত পণ্যের বাজারমূল্য নিশ্চিত করা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকের অবস্থান ও ফসল সংরক্ষণে শেড নির্মাণ, বিভিন্ন ধরনের জৈবসার উৎপাদন ও বিপণন, মানসম্মত উফশী, হাইব্রিড বীজের সরবরাহ, এলাকাভিত্তিক ৪০-৫০ জন সদস্য বিশিষ্ট কৃষক গ্রুপ তৈরি করা সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএই এর মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ টিবিএসকে বলেন, 'প্রকল্পটির মাধ্যমে কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হবে। সেচ, ফসল বিন্যাস, গুণগত মানের বীজের প্রাপ্যতা সহ পণ্যের বাজারজাতকরণে গুরুত্ব দেয়া হবে। চরের কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারলে তা জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। আর এর মধ্য দিয়েই আমরা এসডিজির ১ নম্বর গোল পূরণ করতে পারবো।'