প্রতিবেশীদের চেয়ে বাংলাদেশে ডিজেলের দাম কম: জ্বালানি বিভাগ
আশেপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য এখনও কম বলে দাবি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ডিজেলের মূল্য সমন্বয় নিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা শিরোনামে এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এই দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে ডিজেল ও কেরোসিন তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে, যদিও আশেপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য এখনো কম। গত ৩ নভেম্বর ভারতের কোলকাতায় ডিজেলের মূল্য ছিল লিটারপ্রতি ১০১.৫৩ রুপি বা ১২৪.৩৭ টাকা। তেলের ভেজালরোধে কেরোসিনের মূল্যও ডিজেলের সমান রাখা হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পেলে, সরকার পুনরায় ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞাপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, সরকার জানুয়ারি ২০১৩ সময়ে দেশে ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ৬৮.০০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। পরবর্তীতে এপ্রিল ২০১৬ সময়ে ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ৩.০০ টাকা কমিয়ে ৬৫.০০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকায় সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) গত সাড়ে পাঁচ মাসে প্রায় ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা লোকসান দেয়। যা সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে সমন্বয় করতে হবে।
তাছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রায় ৩৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বিপিসি গ্রহণ করেছে। এ অবস্থায় বিপিসি লোকসানে চলে গেলে এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে, যা জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে।