ভারতের বনাঞ্চল থেকে হাতির দল এসেছে বাংলাদেশে
ভারতের পাথারিয়া পাহাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে পাঁচটি হাতির এক দল খাদ্যের সন্ধানে বাংলাদেশে চলে এসেছে।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার চম্পাবাড়ি বনে এসব হাতি আশ্রয় নিয়েছে। পাথারিয়া-চম্পাবাড়ির হাতির করিডর হিসেবে পরিচিত পথটি দিয়েই তারা এখানে পৌঁছে।
দলের সবগুলোই মাদী হাতি। পরে সীমান্তবর্তী চা বাগানগুলোতেও হাতির দলটি কিছুটা সময় অতিবাহিত করে।
শুরুতে সাত সদস্যের এই দলের অন্য দুটি হাতি যাত্রাপথেই মারা গেছে। একটি হাতি বিদ্যুতায়িত হয়ে এবং অপরটি ক্লান্তি ও খাদ্যাভাবে মারা পড়ে; মৃত হাতিদুটোর একটি ছিল দলটির একমাত্র পুরুষ হাতি।
পুরুষ সঙ্গীর অভাবে এই গোত্রের প্রাণীদের বংশবৃদ্ধির হার বেশ কমে গেছে বলা যায়।
খরার কারণে ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষিজমিগুলোতে আউশ জাতের ধানের আবাদ হ্রাস পেয়েছে। এটি হাতিদের স্থানান্তরের একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ভাবা হচ্ছে।
হয়ত খাবারের সংকটই এই পশুর দলকে বাংলাদেশমুখী করেছে। শীতকালে ধান পেকে উঠলে হাতিরা আবার তাদের পূর্বের জায়গায় ফিরে আসবে বলে জানান সেখানকার কৃষকেরা।
প্যাচিডার্মস প্রজাতির এসব হাতি ভারতীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলের পাথনি, সোনাখিরা, লালখিরা, সিপানজুরি, কুকিটাল, চাঁদখিরা, হাতিখিরা, বিসনম্বর এবং দুর্গানগরের চা বাগানের চারদিকে ঘুরে এবং ফসল পাকার জন্য অপেক্ষা করে।
মাঝেমধ্যে মানুষের মধ্যে আতঙ্কও সৃষ্টি করে থাকে হাতিরা। মেঘালয় এবং ত্রিপুরাকে সংযুক্তকারী উপত্যকার ন্যাশনাল হাইওয়েতে কখনো কখনো এদের নেমে আসতে দেখা যায়।
প্রকৃতিবিদদের মতে, এই অস্থির মাদী হাতিগুলোর একটি পুরুষ সঙ্গীর প্রয়োজন যা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার যে কোনও বন থেকে আনা যায়। পাশাপাশি পাথারিয়া পাহাড়ের বারাক উপত্যকায় তাদের একমাত্র আবাসস্থল এবং বনকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত করে তুলতে আহবান জানান তারা।
সূত্র-দ্য সেন্টিনেল