সম্রাট গ্রেফতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে: র্যাব ডিজি
রাজধানীতে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ডিজি বেনজির আহমেদ আজ র্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
বেনজির আহমেদ জানালেন,“ক্যাসিনো ব্যবসায়ের সঙ্গে তার জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেশব্যাপী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর দুদিন পর তিনি গা-ঢাকা দেন। তাকে গ্রেফতার করতে সময় লেগেছে, কারণ তিনি একেক সময় একেক কৌশল নিতেন।”
এলিট ফোর্সের সদস্যরা আজ ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করেন। ওই সহযোগী আরমানই সম্রাটের অবৈধ ব্যবসার দেখাশুনা করতেন।
পুলিশ সূ্ত্রের খবর, সম্রাট দেশে ছেড়ে পালাতে চাইছিলেন। তাই তিনি চৌদ্দগ্রাম সীমান্তের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
গ্রেফতারের পর তাকে র্যাবের সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।
ওদিকে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন-কাশেমের নেতৃত্বে র্যাব-১-এর একটি টিম দুপুরে সম্রাটের কাকরাইলের অফিসটি ঘিরে ফেলেন। ‘ভুঁইয়া ম্যানশন’ নামের এ ভবনে তারা পৌঁছান দুপুর ১টা বেজে দশ মিনিটে। আধা ঘণ্টা পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা মূল ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভবনের তৃতীয় তলায় সম্রাটের কার্যালয়ে তল্লাশি চালান তারা।
অভিযানের সময় সম্রাটকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিহিত দেখা যায়।
আশিক বিল্লাহের নেতৃত্বে র্যাব- ২-এর আরেকটি টিম বিকেলের দিকে সম্রাটের মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় অভিযান শুরু করেছে। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, র্যাবের আরও দুটি টিম সম্রাটের ধানমণ্ডি অফিস ও তার ভাইয়ের শান্তিনগরের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
সম্রাটকে বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে হাজির করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমান ছিলেন সহ-সভাপতি। দুজনকে গ্রেফতারের পর আজ দুপুরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটি থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়।